মোঃ মুকুল হোসেন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: বেড়িপোটল পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা দের অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সিরাজগঞ্জের অন্তরগত কাজিপুর উপজেলার বেড়িপোটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নানান সমস্যায় জর্জরিত। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় বেড়িপোটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি বিগত ১৯৯১সনে স্থাপিত হয়,বিদ্যালয়ের শুরু লগ্ন থেকেই চারজন শিক্ষক কর্মরত আছে।বিদ্যালয়টি মুঞ্জুরির সময় ৩৩শতক জমি দেখানো আছে,যাহা বিদ্যালয়ের কোন কাজে ব্যাবহার যোগ্য নয় এমনকি বিদ্যালয় স্থাপন করার জায়গা না বরং ফসলি জমি হিসেবে শিক্ষকরা প্রায় ৩০বছরের উর্দ্ধে শিক্ষকরাই ভোগ দখল করে আসছে।উক্ত জমি থেকে ৩০বছরে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা আয় উপার্জন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে চার শিক্ষক দের উপরে,আর এই বারো লক্ষ টাকা ভাগবাটোয়া করে ভোগ করছেন তারা।যেখানে একটি বিদ্যালয় থাকার কথা ৩৩শতক জমির উপরে সেখানে বিদ্যালয়টি দাড়িয়ে আছে ১৩শতক জমির উপর এবং বিদ্যালয়টিতে উন্নয়নকল্পে কোন অর্থ ব্যাবহার করা হয় নাই। বিদ্যালয়ে পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে কিন্তু নির্ধারিত জমিতে না করে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিমের নিজ সুবিধার্থে বাড়ির পাশে অন্যের দানকৃত ১৩শতক জমিতে ভবন নির্মান করে এমনি প্রায় সময়ই ভবনের কিছু অংশ শিক্ষক রেজাউল করিমের নিজ কাজে ব্যাবহার করেন। ভবনে যায়গায় বাড়তি যায়গা বা খেলার মাঠ না থাকার কারনে ছাত্রছাত্রীদের চলাফেরা, ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও বিনোদন মূলক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।ছাত্র ছাত্রিদের দূর্ভোগ দূর করনের লক্ষে শিক্ষকদের সাথে প্রতিশ্রুতি হিসেবে বিদ্যালয় উন্নয়ন কল্পে স্বপ্ল মূল্যে বেড়ীপোটল গ্রামের প্রবীন মুরুব্বী জনাব আলহাজ্ব জেল হোসেন সাহেব ১৪শতক জমি খেলার মাঠ ও ভোট সেন্টারের কাজে ব্যবহারের জন্য এবং মাননীয় সাবেক প্রয়াত নেতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম সাহেবের নিজস্ব ভোট কেন্দ্রকে সচল রাখার জন্য দলিল করে দেন কিন্তু অত্র স্কুলের সহকারি শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিমের কারসাজিতে ঐ জমি চারজন শিক্ষকের নামে দলিল করে নেয় এবং প্রতিশ্রতি দেয় ফসলি ফসলি জমির পরিবর্তে এই ১৪শতক জমি বিদ্যালয়ের খেলার মাাঠের জন্য ব্যবহার করা হবে।প্রায় ৩০বছর ধরে ৩৩শতক জমি ভোগ করার পর বর্তমানে খেলার মাঠ ভেঙ্গে নিজের জন্য বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করছেন,শুধু তাই নয় সকল কচিকাচা ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ের সকল সুবিধা থেকে বন্চিত হচ্ছে।এই বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শওকত ইকবাল সাহেব কে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিনিধি কে জানান ১৪শতক জমি বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয়েছিলো এবং মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিন্তু সহকারি শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম আমার কোন কথা না শুনে মাঠ ভেঙ্গে নিজের জন্য বাড়ি তৈরি করছে এমন কি পূর্বের ৩৩শতক জমির আয়কৃত জমি ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান।এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ না থাকার কারনে আমি ছাত্র ছাত্রি নিয়ে সমস্যায় আছি। সহকারি শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থাকুক আর না থাকুক উন্নয়ন হোক আর না হোক তাতে আমার কিছু যায় আসে না আমি শিক্ষক সমিতির নেতা শিক্ষা অফিসের সাথে সব সময় লিয়াজো থাকি উপর মহল আমার কিছুই করবে না।আপনাদের বিদ্যালয় বিষয় নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। উক্ত বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হবিবুর রহমান সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলের বিষয়ে ও শিক্ষকের অনিয়ম দূর্নীতির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবো।এদিকেগ্রাম বাসিদের প্রানের দাবি বিদ্যালয় আমাদের সম্পদ আমাদের ছেলে মেয়েরা সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে এই লক্ষে শিক্ষকদের দূর্নিতীর পদচিত্র গুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানান।