প্রকাশের সময় : ঢাকা, বুধবার ২৫ শ্রাবণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ০৯আগস্ট , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ,২১ মুহাররম,১৪৪৫ হিজরি,আপডেট : ১১:৫০:৩৫ পিএম.
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ছাতিরচর এলাকায় জমি অধিগ্রহণ না করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গার উপর রাস্তা নির্মাণ ও স্থাপনা ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ভুক্তভোগী রমিজ উদ্দিননের বাড়ীর সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবার ছাড়াও তাদের স্বজন ও স্থানীয় শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করে।
ভুক্তভোগী পরিবারটির দাবি, গত শুক্রবার স্থানীয় কাশেম মেম্বারের নেতৃত্বে, দাউদ সিকদার, সেলিম সিকদার, রহমতুল্লাহ, বিল্লালসহ এলাকার কতিপয় লোক রাস্তার পাশে থাকা তাদের কয়েকটি স্থাপনা জোরপূর্বক ভাংচুর করে দখল নেওয়ার চেষ্টা করে এবং তাদের প্রাননাশের হুমকি দেয়। একটি বিল্ডিং বাচাতে বিশেষ একটি মহল তাদের জায়গা দখলের চেষ্টা করছে।
ভুক্তভোগী বোরহান বলেন, আমি একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে জনগণ বা সরকারের বিরোধিতা করতে পারিনা। রাস্তার কথা ভেবে জনগণের স্বার্থে আমরা ইতোমধ্যেই ১৮ শতাংশ জমি হতে ৫ শতাংশ জায়গা রাস্তার জন্য ছেড়ে দিয়েছি। বাকি রাস্তাও যদি আমাদের জমি দিয়ে যায় তাহলে আমাদের জমি থাকবেনা। এনিয়ে আমরা প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের দোকানপাট ভেঙ্গে দেয় এবং প্রাননাশের হুমকিসহ আমাদের সরকারি চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
আহসান নামে অপর ব্যক্তি জানান, শুধুমাত্র মিয়াজ উদ্দিন গংদের বিল্ডিং বাচাতে কিছু লোক টাকা খেয়ে সন্রাসী হামলা করে তাদের স্থাপন ভাংচুর করা হয়েছে। রাস্তা গেলে দুইদিক দিয়ে দুজনের জায়গা দিয়ে রাস্তা যাওয়ার কথাও জানান তিনি।
স্থানীয় আতিকুল ইসলাম নামে একজন জানান, জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি সমাধান না করে জনগনকে উছলিয়ে দিচ্ছে, এটা চলতে থাকলে এলকায় অরাজকতা সৃষ্টি হবে। অনতি বিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের কিভাবে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া যায় সে ব্যবস্থা করার দাবি জানান তিনি।
এব্যাপারে স্থানীয় কাশের মেম্বার, রহমতুল্লাহ, সেলিম সিকদারসহ অভিযুক্তরা জানিয়েছেন তারা কারো কোন স্থাপনা ভাংচুর করেনি। মানববন্ধন শেষে বাহিরাগত লোকজন রাস্তার ভেতরের কিছু খুটি ভেঙে দিয়েছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদউল্লাহ জানান, কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অফিস ইতোমধ্যে ব্রিজ নির্মাণ ও এপ্রোচ সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করে ফেলেছে। যে জায়গা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে এটা তাদের আওতার বাহিরে।
এব্যাপারে কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ জানান, আমরা ৯৯ এ কল এলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করেছি। জেনেছি এব্যাপারে একটা সাধারণ ডাইরি করেছে জমির মালিক।