মোহাম্মদ সাইদ: দ্বিতীয় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইতোমধ্যে ২৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাই আজ বাকিগুলোতে চেয়ারম্যান পদে ভোট হয়েছে।
উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৯টায় ঢাকা জেলার পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় জেলা পরিষদ ভোট গ্রহণ। আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টায় কেরানীগঞ্জের আমবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে ভোট দেন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে-নূর তাপস।
ভোট দেওয়া শেষে তাপস সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। এ ধরনের ভোট হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন সকলের কাছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে।’
এবার নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা পদসহ মোট সাতটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৩ জন প্রার্থী। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেরয়র সহ মোট ভোটার রয়েছে এক হাজার ১৯ জন।
সকাল ১০টায় কেরাণীগঞ্জের আমবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন রিটার্নিং অফিসার ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম। ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীভাবে সিসি ক্যামেরার মাধম্যে মনিটরিং করা হচ্ছে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত পরিমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে।
ঢাকা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ড কেরানীগঞ্জসহ ঢাকা দক্ষিন সিটির মোট ভোটার হচ্ছে ২৬০ । এর মধ্যে কেরানীগঞ্জে ১৫৯ এবং ঢাকা দক্ষিন সিটিতে ১০১ ভোট। এই ওয়ার্ডে পুরুষ সদস্য পদে প্রদিদন্দিতা করেন ২জন এবং নারী সদস্য পদে প্রতিদন্দিতা করেন ৫জন। সকাল ৯টায় ঢাকা জেলার পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় ভোট গ্রহণ দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন চলে। হাতি প্রতিক নিয়ে মিন্টু হোসেন তালা প্রতিকের একে আজাদকে ভোটে পরাজিত করে বেসরকরীভাবে বিজয় লাভ করেন। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, কেরানীগঞ্জ,নবাবগঞ্জ ও দোহার নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত নারী আসনে শিলারা ইসলাম ২৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদা আক্তার হ্যাপী পান ১৪৪ ভোট।