সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় রাতের আধারে ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগষ্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সেদিন আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছিল দেশের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ। এ আন্দোলনে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করেছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা। সে সময় অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। আর এসব হতাহতের ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রং-তুলি দিয়ে নওগাঁ শহরের বিভিন্ন স্থাপনার দেয়ালে ছবি, গ্রাফিতি ও লেখনিতে তুলে ধরে ছাত্রজনতা। রাতের আধারে সেই গ্রাফিতির উপর কে বা কাহারা “জয় বাংলা” লেখেন। রাতের আধারে গ্রাফিতির উপর “জয় বাংলা” লেখা মুছে দিলো ছাত্রদলসহ বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সম্প্রতি ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হঠাৎ করে গত দুইদিন থেকে শহরের কেডির মোড় ও মুক্তির মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ের দেয়ালে যেখানে ছাত্রদের গ্রাফিতি অঙ্কন করা ছিল সেখানে ‘জয় বাংলা’ লেখা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই স্লোগানটি লেখেন। এরপর সে গুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা।
সোমবার দুপুরে সেই ‘জয় বাংলা’ লেখা গুলো স্প্রে পেইন্ট ব্যবহার করে মুছে দেন নওগাঁ জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও জিয়া সাইবার ফোর্স। এসময় নওগাঁ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. রুহুল আমিন মুক্তার, জিয়া সাইবার ফোর্স নওগাঁ জেলা শাখার আহবায়ক মো. এমরান হোসেন, সদস্য সচিব সামিউল ইসলাম পারভেজ, শ্রমিক দল নওগাঁ সদর থানার সভাপতি আরিফুল হক রানাসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্স এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. রুহুল আমিন মুক্তার বলেন, ছাত্রজতার গ্রাফিতির ওপর রাতের অন্ধকারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগরা “জয় বাংলা” লিখেছে। এই “জয় বাংলা” যারা কায়েম করার চেষ্টা করছে তাদেরকে হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগরা আর কখনোই বাংলার মাটিতে দাঁড়াতে পারবে না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫টি বছর দেশকে গুজবে পরিণত করেছে। উন্নয়নের নামে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। গত ৫ আগষ্টে স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ছাত্রলীগের কাঁধে ভর করে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র তৈরি করার চেষ্টা করছে। বাংলার মাটিতে তা কখনো বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।