সুমন কুমার ঘোষ বুলেট নওগাঁ জেলাঃ নওগাঁর পত্নীতলায় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়নের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ১৪ নভেম্বর সোমবার দুপুরে ওই পিয়নের অবসরন দাবীতে অভিভাবকসহ স্থানীয় গ্রামবাসী বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার পতœীতলা উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের মাটিন্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা এবং তার স্বামী বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পিয়ন সোহরাব হোসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমত আরার সম্পর্কে আপন ভাগ্না। এ বিদ্যালয়ের পিয়ন কাম নৈশ্যপ্রহরী সোহরাব হোসেন গত ৩ নভেম্বর পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করে। অভিযোগ রয়েছে ওই পিয়ন এর আগেও এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একই শ্রেণীর আরো ৫-৬ জন ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ ব্যাপারে অভিভাবকরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রীসহ তাদের অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলেও এ বিষয়ে অভিযুক্ত পিয়ন সোহরাব হোসেন বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়। ওই পিয়নের অপসারণ দাবীতে গতকাল ১৪ নভেম্বর সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অভিভাবক এবং গ্রামবাসী বিক্ষোভ করেছে। ঘটনার আংশিক সত্যতা স্বীকার করে এ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন অভিযুক্ত পিয়ন কাম নৈশ্য প্রহরীকে প্রাথমিক ভাবে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন ঘটনাটি আপোষ মিমাংসার জন্য স্থানীয় মাটিন্দর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সুলতান মাহমুদের উপস্থিতিতে গত ৯ নভেম্বর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি শালিশ ডাকা হয়। শালিশে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে কোন মিমাংসা ছাড়ায় শেষ হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই ইউপি চেয়ারম্যান জানান, এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে অভিযুক্ত পিয়নের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি বলেছেন। আপোষ মিমাংসার সত্যতা অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা বলেছেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এ বিদ্যালয়ের ওই শ্রেণীর একাধিক ছাত্রী অভিযোগ করেন পিয়ন সোহরাব হোসেন সুযোগ পেলেই তাদের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করে আসছে।