মো: সোহরাওয়ার্দী হোসেন
পেট্রো বাংলায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে খোকন কবির নামের এক বেকার যুবকের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা আত্মসাথের অভিযোগ উঠেছে মিজান ও ফরিদ দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে।
প্রতারক মিজানের গ্রামের বাড়ি বাকেরগঞ্জ এর নিয়ামতি ইউনিয়নের হাসান নগর অপর প্রতারক ফরিদ এর বাড়ি শাহজাদপুর থানার পোতাজিয়া ইউনিয়ন এর নুকালি গ্রামে।
পেট্রোল বাংলায় চাকরির কথা বলে দুই প্রতারক মিজান ও ফরিদ ২০১৪ সালে তিন লক্ষ টাকা নেয়।
টাকা নেওয়ার সময় প্রতারক মিজান ফরিদকে সাক্ষী করে চাকরি না হওয়ার কারনে খোকন কবির টাকা ফেরত চাইলে বারবার তারিখ দিতে থাকে। ভুক্তভোগী কে মিজান নামের ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে এক লক্ষ টাকা করে তিনটা ভুয়া চেক দেয়। খোকন কবির ব্যাংকে টাকা উত্তোলনের সময় দেখে একাউন্টে টাকা নেই।
টাকা না পেয়ে ভুক্তভোগী খোকন কবির শাহজাদপুর কোটে একটি চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা করেন ৩২০ /১৪২ ধারায়। ভুক্তভোগী খোকন কবির আরো জানান তার নিজ এলাকার নজরুল ইসলাম নামের এক ছেলে কে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে পুলিশের চাকরি দেয় প্রতারক মিজান।নজরুল ইসলামের বাড়ি থেকে ৭ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় তখন প্রতারক ফরিদ আমাকে প্রতারক মিজানের পরিচয় করিয়ে দেয় পরিচয় করিয়ে দেয় । নজরুলের চাকরি হওয়ার পর জানতে পারলাম তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা তার এমনিতেই চাকরি হয়েছে।
আমি খোকন কবীর আমার পাওনা ৩ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে মিজান আমাকে ব্যাংকে বারবার বসিয়ে রাখে টাকা দেয় না।
আমি মাঝে মাঝে ফোন দিলে দুজন প্রতারক ফোন বন্ধ করে রাখে।
এই ঘটনার বিষয়ে জানতে প্রতারক মিজানকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মিজানের বড় ভাই হাবিবকে ফোন দিলে তিনি টাকা নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করেন।তারপর প্রতারক ফরিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছিল বাকি টাকার ব্যাপারে দুই মাস সময় নিলেও মিজানের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
টাকা নেওয়ার সাত আট বছর পার হওয়ায় হতাশ গোস্ত অবস্থায় দিন পার করছে বেকার যুবক খোকন কবির।