রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাইয়ে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও এখনো কোন মজুরি পাননি শ্রমীকরা। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন হাজারের উর্দ্ধে এসব অতিদরিদ্র পরিবারগুলো। তাই মজুরির টাকা পরিশোধে দ্রুত সহায়তা কামনা করেছেন
অতিদরিদ্র এসব শ্রমীকরা।আত্রাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর সুত্র জানায়,উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪০দিনের কর্মসূচীর আওতায় ৪০টি প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হয়। এসব কাজে শ্রমীক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন অতিদরিদ্র পরিবারের এক হাজার ছয় জন
শ্রমীক। গত ১৮ ডিসেম্বর কাজ শুরু হয়ে ১৩ জানুয়ারী কাজ শেষ হয়েছে। শ্রমীকরা বলছেন,এই প্রকল্পে আমরা সমাজের অতিদরিদ্ররা কাজ করে আসছি। প্রতি দিন ৪০০টাকা মজুরির বিনিময়ে কাজ করেছি। কিন্তু প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত মজুরির একটি পয়সাও পাইনি। কবে নাগাদ এসব টাকা পাওয়া যাবে তা বলতে পারছিনা। ফলে স্ত্রী-সন্তানদের মুখে খাবার তুলে
দেয়া,সংসারের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো এবং অনেকেই রয়েছেন সভা-সমিতি বা এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি দিতে হাঁপিয়ে ওঠেছি।উপজেলার সিংসারা গ্রামের শ্রমীক আব্দুস সামাদ বলেন,৪০দিন ধরে কাজ
করেছি কিন্তু এখনো কোন টাকা পাইনি।
শ্রমীক নওদাপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক বলেন,কাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত মজুরির এক পয়সাও আমরা পাইনি। এনজিও থেকে কিস্তির ভিত্তিতে ঋণ নেয়া আছে। প্রতিবেশিদের নিকট থেকে হাওলাত করে নিয়ে কিস্তি দিতে হচ্ছে এবং সংসার পরিচালনা করতে হচ্ছে। এতে নতুন করে ঋণগ্রস্থ্য হয়ে পরতে হচ্ছে।
আমরা খুবই বিপদে আছি।শ্রমীক দলের সরদার নওদা পাড়া গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন বলেন,তার দলে ৩০জন শ্রমীক রয়েছেন। সবাই কোন না কোন এনজিও সমিতি থেকে কিস্তি নিয়ে সংসারের চাহিদা পুরণ করেছেন। তারা নিয়মিত কাজ করে সেই কাজের পাওয়া
মজুরি থেকে এনজিওর কিস্তি এবং সংসারে ভরণ পোষন করছিলেন। কিন্তু ৪০ দিন কাজ করে কোন মজুরি না পাওয়ায় চরম বিপাকে পরেছেন শ্রমীকরা।আরেক শ্রমীক সরদার দমদমা গ্রামের আলতাব হোসেন বলেন,তার দুই গ্রæপ মিলে ২৮জন শ্রমীক রয়েছেন। প্রতিদিন কাজে গেলেই শ্রমীকরা টাকার জন্য একরকম বে-ইজ্জতি করে ফেলছেন। কিন্তু নিরুপাই হয়ে আছি। দ্রুত শ্রমীকদের টাকা পরিশোধে সংশ্লিষ্ঠদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।আত্রাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়া উদ্দীন বলেন,জাতীয় সংসদ
নির্বাচনের কারনে বিল করে পাঠাতে একটু দেরি হয়েছে। তাই মজুরি পেতেকিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সমদয় মজুরি শ্রমীকরা পেয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।