ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
পাবনার ঈশ্বরদীতে গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আসলাম হোসেনের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে বিদ্যালয় চত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি শহরের রেলগেট ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত গিয়ে মানববন্ধনে রূপ নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, যৌন হয়রানি, আর্থিক অনিয়ম, অতিরিক্ত ফি আদায়, স্বেচ্ছাচারিতা ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষ আসলাম হোসেনের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। সে সময় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির জরুরি সভায় বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বোর্ডে পাঠানো হয়। তবে সম্প্রতি তাঁকে পুনর্বহালের চেষ্টা চলছে—এমন খবরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে এবং তারা আবারও আন্দোলনে নামেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শামন্তা রহমান ঐশ্বর্য বলেন, অধ্যক্ষ আসলাম হোসেনের আচরণ অত্যন্ত অশোভন ও অনৈতিক। তিনি আমার মত ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া বোনদের সাথে এমন আচারন করতে না পারে, একন্যই তাঁর স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি করছি।
শিক্ষার্থী আফরোজা জাহান বলেন,
তিনি আমাদের সঙ্গে এমনভাবে কথা বলেন, যেন আমরা মানুষই নই। একজন শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারেন, তাহলে তাঁর অধীনে আমাদের ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব নয়।
মাওয়া নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন,
“পড়াশোনার চেয়ে তিনি টাকা আদায়ের কথাই বেশি বলতেন। ফরম ফিলআপ বাবদ অযথা অতিরিক্ত টাকা আদায় করতেন। এসব অনিয়মের কারণেই আমরা আন্দোলনে নেমেছি।”
শিক্ষার্থী সাবাহ ইসলাম বলেন, আমরা চাই নির্ভার পরিবেশে ক্লাস করতে। কিন্তু তাঁকে পুনর্বহালের কথা শোনার পর থেকে আমরা মানসিক চাপে আছি।
বর্তমানে এডহক কমিটির সভাপতি ইমরান কায়েস শাওন বলেন, আমি সদ্য দায়িত্ব পেয়েছি, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে অভিভাবক ও সচেতন মহলের মধ্যেও আলোচনার ঝড় উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট না হয় এবং শিক্ষার্থীরা নিরাপদে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।