বিশেষ প্রতিনিধি
এনজিও বা বিভিন্ন সমিতি এমনকি ব্যক্তিবিশেষ অধিক মুনাফার লোভে দাদন বা সুদের ব্যবসা করে আসছে। কোনো প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বৈধতা নিয়ে ঋণের অনুকূলে মুনাফা গ্রহণ করে আসলেও অনেক ব্যক্তি অধিক লোভের বশীভূত হয়ে অবৈধ পন্থায় দেদার সুদের কারবার করে আসছে।
সেক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু শ্রেণির শিক্ষকরাও। এমনি দাদন ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উজেলার ষড়গ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান গান্ডুর বিরুদ্ধে।
প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান গান্ডু বোয়ালিয়া ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের মোঃ তাফজুল হকের ছেলে।
এদিকে তার অবৈধ দাদন ব্যবসায় কর্মী প্রতারণার স্বীকার হয়ে অবৈধ এনজিওর মালিকের বিরুদ্ধে ৯ মে গোমাস্তাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । মোঃ লালান আলী । তিনি দৌলতপুর গ্রামের মৃত আবু সুফিয়ানের ছেলে ।
অভিযোগে জানা যায়, প্রগতিশীল জনকল্যাণ সংস্থা এনজিওতে ২০১৭ সালে লালান মাঠকর্মী পদে যোগদান করে। অবৈধ দাদন ব্যবসায়ী এনজিও মালিক গান্ডু মাষ্টার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ পাবে বলে লালান কে শেয়ার হোল্ডার করার প্রলোভন দেখিয়ে রূপালী ব্যাংক লিঃ গোমাস্তাপুর শাখা হিসাব নং ৩৬৮১০১০০০৯৯৭৪ এর ১৫১৮৮৬১ থেকে ১৫১৮৮৭০ মোট ১০টি ফাঁকা চেকের পাতা নেয়। এমনকি একশত টাকা মূল্যের তিনটি নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে সাক্ষর করে নেন।
যার ফলে মিথ্যা মামলাসহ বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন লালান।
এছাড়াও অনুসন্ধানে আরো জানা যায় এনজিও কর্মী লালান তার বিভিন্ন আত্নীয়স্বজনের নিকট থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা জমা করেন এই অবৈধ প্রগতিশীল জনকল্যাণ সংস্থায় । বিভিন্ন সময় দাদন ব্যবসায়ী গান্ডু মাষ্টার দু'এক লাখ করে ১৬ লাখ টাকা দিলেও বাকী ১৯ লাখ টাকা দিতে শুরু করে নানা টালবাহানা। এমন কি কর্মীর নামে সাক্ষরজালসহ ৩০ লাখ অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলেন। তবে সপ্তাহে তিন দিন লেনদেন হিসাব নেওয়ার পর, কিভাবে স্বাক্ষর জাল করে অর্থে গরমিল করেন এনজিও কর্মী এমনটাই প্রশ্ন সচেতন মহলের ?
ঘটনার সত্যতা জানতে বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামিউল আলম শ্যামল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাল সাক্ষর গুলোতে তেমন ব্যবধান নেই। গান্ডু মাষ্টার নিজে বাঁচতে লালানের উপর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ঘটনার তদন্তপ্রাপ্ত গোমাস্তাপুর থানার এস আই আব্দুল আলীম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।