বিশেষ প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত জনসমাবেশ পণ্ড হয়।
শনিবার (২০ মে) সকাল ১০টার দিকে শহরের বনানীর এলাকায় কলেজ রোড সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টার পরে শহরের বনানী এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পূর্বনির্ধারিত জনসভা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। জনসভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
শুক্রবার রাতে তিনিসহ কেন্দ্রীয় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা পটুয়াখালী যান। কিন্তু সভাস্থলে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হওয়ার আগেই ওই এলাকা দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ থেকেই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জানা যায়।
পটুয়াখালী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরীফ মো. সালাউদ্দিন বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা মূলদল এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শুরু করলেও ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এতে আমাদের ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মী কর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।
পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন ছিল। বিএনপি জনসমাবেশ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল।
বিএনপি সমাবেশ শুরুও করেছিল। কিন্তু বিএনপির কিছু উশৃঙ্খল নেতাকর্মী উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তিনটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, এখানে কিছু বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি হয়েছে। দু-একটি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আমাদের জানামতে সেরকম কোনো ইনজুরির (আহত) খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, আজ জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ছিল। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সেখানে যোগ দেওয়ার পথে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমাদের সাত থেকে আট জন আহত হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।