সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
নওগাঁর ধামইরহাটের বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম খোদাদাদের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আটক হন তিনি। এরপর পর ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি গভর্নিং বডি। গভর্নিং বডির যোগসাজশে তিনি নিয়োগ বাণিজ্য, টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষকদের হুমকি-ধামকি দেয়াসহ বিভিন্ন সময়ে তাদের শোকজ করেছেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন তিনি মাদ্রাসাটিকে দূর্ণীতির আখড়া বানিয়েছেন। জানা যায়, তিনি সুরমা মাল্টিপারপাস নামের একটি এনজিও থেকে টাকা উত্তোলন করে সেই টাকা পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করলে সে মামলায় তার ৫ মাস কারাদন্ড করে মহামান্য আদালত। তার উপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে গত ৬ মার্চ তাকে থানা পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। সেই সাথে তাকে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া ডাক্তারি সনদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন। নিয়োগ বানিজ্য করেছেন, ১৫ থেকে ১৬ হাজার ইট বিক্রির ভূয়া রেজুলেশন তৈরি করে মসজিদে দান উল্লেখ করেছেন, চকভবানী মৌজার মো. ইউনুছার রহমানের কাছে অত্র প্রতিষ্ঠানের ২৫ শতাংশ জমি পঁচাত্তর হাজার টাকায় বন্ধক রেখে অহেতুক কারণ দেখিয়ে তিনি নিজেই টাকা গুলো আত্মসাৎ করেন। এবতেদায়ী প্রধান মোঃ জিয়াউর রহমানের ১টি শোকজ প্রদান করে বিধি বহিরভূত ভাবে জুন, জুলাই, আগাস্ট/২৩ইং মাসের বেতনভাতাদি বন্ধ করেন। জুলাই আগস্ট মাসের বেতন ছেড়ে দিলেও জুন মাসের বেতনভাতাদি এখন পর্যন্ত দেন নাই। এসব কাজ করতে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ গোপনে মনগড়া পকেট কমিটি গঠন করে। ওই মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, অধ্যক্ষ এই মাদ্রাসার অস্তিত্ব বিলীন করে দিয়েছে। তার নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে তার মনোনীত ব্যাক্তিদের নিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেছেন। তিনি নিয়োগ দিয়ে এপর্যন্ত কোটি টাকার উপর পকেটে ভরেছে। এর পূর্বে তিনি মাদ্রাসার সুধী সমাবেশে টাকা আত্মসাৎ করার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান। তারপরও তিনি এবারে কয়েকটি নিয়োগ দিয়ে ৭০ লক্ষ টাকার উপর আত্মসাৎ করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, গভর্নিং বডি আমাকে সিদ্ধান্ত দিলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। এছাড়া আর কিছু বলতে পারছিনা। এবিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার সভাপতি শহিদুল ইসলাম কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বারংবার সদস্যদের উপর দায় দিতে চান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।