এম এ করিম চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
বাংলাদেশে আলু উৎপাদনে ছাড়িয়েছে এক কোটি টোন কেও।আলু উৎপাদনে বিশ্বে ৭ম স্থানে বাংলাদেশ।দেশের প্রধান খাদ্যপণ্যের মধ্যে আলু একমাত্র উদ্বৃত্ত ফসল।
সাম্প্রতিক সময় আলু উৎপাদন ও তার চাহিদা ৩০ ভাগেরও অধিক।আলু ভাবাসম্পূর্ণ অবস্থায় সংগ্রহ করা ভালো। গরম পড়া শুরু হলে আলুর বিভিন্ন রোগ জীবাণু সক্রিয় হয়ে ওঠে।এছাড়াও,আলুতে আক্রমণের মাত্রাও ঐসময় বেড়ে যায়।মেঘলা অবস্থায় বৃষ্টির দিনে আলু না তুলে সকালের দিকে আলু উত্তোলনে কৃষি বিভাগ সর্বাধিক কৃষক পরামর্শ ও গুরুত্ব দেই।
এছাড়াও,জমিতে জোঁ অবস্থায় আলু সংগ্রহ করা সর্বোত্তম,যা আদর্শ কৃষকের বৈশিষ্ট্য।এদিকে,আলু পরিপক্ব আকার রং ও আবহাওয়া সহ ফসলের স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে আলু উত্তোলনে কৃষক লাভবান হয়।তাছাড়া,টিউবার সংগ্রহের সময় মাটির তাপমাত্রা কম হলে টিউবারের আঘাতের ফলে সৃষ্ট কালোদাগ অধিক হয়ে থাকে।তবে১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে মাটির তাপমাত্রা হলে টিউবার উঠাতে কৃষি বিভাগ অনুৎসাহিত করে।
আলুর বহুবিধ ব্যবহার ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে,চিপস্-ক্রিপস্ ফ্লেক্স,ফ্রেন্স ফ্রাই,স্টার্চ,পাউডার সহ আরও নিত্য নতুন খাবার তৈরীতে আলু ব্যবহারে দেশে দিন দিন ফুডস্ শিল্প প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে দেশে চাহিদার চেয়ে বছরে প্রায় ২০-২৫ লাখ টন আলু বেশি উৎপাদন হয়।
কৃষকের কষ্টার্জিত উৎপাদিত ফসল দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানিযোগ্য আলু।তবে রফতানিতে এ আলু বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে পেছনের দিকে।
রফতানিকারকরা বলছেন,আলু দেশের চাহিদার অতিরিক্ত উৎপাদন হলেও ভালো জাতের অভাব এবং উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে টিকতে পারছে না আলু রপ্তানিতে বাংলাদেশ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।