মোঃ নাজমুল ইসলাম, ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
ঈশ্বরদীর প্রকৃতিতে এখন যেন এক অনন্য আবহ—চারদিক মেঘে ঢাকা, মাঝে মাঝে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর সেই সাথে প্রকৃতির কোলে ছড়িয়ে পড়ছে কদম ফুলের শুভ্র-হলুদ হাসি। আজ ২৫ জুন, ঈশ্বরদীর বিভিন্ন স্থানে ফুটে উঠেছে বর্ষার এই চিরচেনা দূত—কদম ফুল।
”প্রকৃতির ঘনিষ্ঠ বন্ধুই যেন কদম“
বাংলার বর্ষা ও কদম ফুল একে অপরের পরিপূরক। সাধারণত জুনের মাঝামাঝি থেকে আগস্ট পর্যন্ত কদম ফুল ফোটে। বিশেষ করে টানা গরমের পর প্রথম বৃষ্টির ছোঁয়ায় গাছগুলো যেন প্রাণ ফিরে পায়, আর তখনই ফুটে ওঠে কদম। ঈশ্বরদী সাঁড়া গোপালপুর, পাকশী, সাহাপুর, দাশুড়িয়া, রেলবাজারসহ নানা এলাকায় আজ সকাল থেকেই কদম ফুলের সৌন্দর্য নজরে পড়েছে।
বৃক্ষপ্রেমী ও শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম জানান, “এই ফুলের একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে। গোল বলের মতো দেখতে, উপচানো সাদা ও হলুদ রঙের সংমিশ্রণে এটা যেন প্রকৃতির নিজ হাতে আঁকা শিল্পকর্ম।”
শুধু চোখের আরাম নয়, কদম ফুলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির আবেগ-অনুভূতি ও সাহিত্য। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে আধুনিক কবিদের লেখায়, এমনকি লোকসঙ্গীতেও কদম ফুল এক বিশিষ্ট জায়গা করে নিয়েছে।
বিশেষ করে প্রেম, প্রথম বর্ষা আর স্মৃতিকাতরতা—এই তিনটি আবহেই কদম ফুল ব্যবহৃত হয় সাহিত্য ও সংগীতে।
“কদমতলা কদমে দোলা,
মনের মাঝে বাজে বীণা”
— এমন অনেক লোকগীতিই আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
আজ সকাল থেকেই ঈশ্বরদীর অনেক জায়গায় দেখা গেছে শিশু-কিশোরদের কদম ফুল হাতে ঘুরে বেড়াতে। কেউ নিজের স্কুলব্যাগে ফুল গুঁজে নিচ্ছে, কেউ আবার বানাচ্ছে ফুলের মালা।
স্থানীয় স্কুলছাত্রী মীম জানায়, “আজ স্কুলে যাওয়ার সময় রাস্তায় গাছ থেকে একটা কদম ফুল পড়েছিল। কুড়িয়ে নিয়ে বন্ধুদের দিয়েছি, সবাই খুশি হয়েছে।”
পরিবেশ সংগঠন 'সবুজ পৃথিবীর' যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান চৌধুরী, “এই কদম ফুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও ভূমিকা রাখে। প্রতি বর্ষায় আমরা চেষ্টা করি কদমসহ দেশীয় ফুলগাছ লাগাতে।”
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।