মোঃ নাজমুল ইসলাম, ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
অবশেষে ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া গোপালপুর টিপু সুলতান রোড ইজিবাইক চালকরা সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। আজ ১২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া সংস্কার কাজে ২৫-৩০ জন ইজিবাইক চালক নিজ উদ্যোগে এ কাজে অংশ নিয়েছেন।গত ২৮ আগস্ট ২০২৪ একই রাস্তায় সংস্কার কাজ করেছিলেন ইজি বাইক চালকরা। কয়েকদিনের ব্যবধানে বৃষ্টি ও ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে দ্রুত সময়েই সড়কটি খানখন্দে ভরে চলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার উপজেলার টিপু সুলতান রোডে ঈশ্বরদী রেলগেট-তালতলা মোড় সংযোগ সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। ফলে সড়কটি দিয়ে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। ২ কিলোমিটার সড়কের ৮০ থেকে ১০০টি স্থানে ভেঙে খোয়া সরে গিয়ে মাটি বেরিয়ে আসেছে। সড়কে ২৫ থেকে ৩০টি বড় গর্তেও সৃষ্টি হয়েছে।সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, শুরু হয় জনদূর্ভোগ।
কয়েকটি স্থানে যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে সড়কে চলাচলকারী ইজিবাইক চালকরা নিজ উদোগে রাস্তা সংস্কার কাজে নেমে পড়েছেন। বড় গর্তগুলোতে বালি ও ইটের সুড়কি এনে ভরাট করছেন চালকরা। আর এ কর্মযজ্ঞ সকাল থেকে শুরু হয়ে একটানা সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে বলে জানান চালকরা।
সড়কটি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে ঈশ্বরদী ইপিজেড হয়ে মেগা প্রজেক্ট রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট সংযোগ সড়ক যুক্ত হয়েছে।
উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলবাসীর ইপিজেড ও মেগা প্রজেক্ট রূপপুরে প্রবেশের একমাত্র সড়ক হওয়ায় সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরি, ইঞ্জিনচালিত ট্রলি, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি, নছিমন, রিকশাসহ শতাধিক যানবাহন চলাচল করে।
এ সড়কের পুরো এলাকায় নানা বিড়ম্বনায় পড়ে আসছিল যানবাহনচালক ও যাত্রীরা। ইজিবাইকের চালক ও স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার কাজে অংশ নেয়া চালক মোঃ মহাসিন বলেন, এ সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ভাঙা সড়ক দিয়ে ইজিবাইক চালাতে গিয়ে দু-এক দিন পরপরই তা বিকল হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমরা নিজেদের উদ্যোগে সংস্কার কাজে নেমেছি।
খানাখন্দের কারণে সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগেও একটি ইজিবাইক উল্টে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। অনেক সময় যানবাহন বিকল হয়ে সড়কে পড়ে থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।