প্রকাশের সময় : ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,০১ ফ্রেরুয়ারী ২০২৪খ্রিস্টাব্দ,১৯ রজব ১৪৪৫ হিজরি,আপডেট : ০৭:৩০:৩৫ পিএম.
মোহাম্মদ সাইদ ( স্টাফ রিপোর্টার ): ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক কিশোরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাংবাদিক কায়েসের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা সাধারণ ডায়েরী (জিডি) দায়ের করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জিডির বাদী ও কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের অফিস সহকারী মো. সাজ্জাদ হোসেন।
বৃহস্প্রতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাজ্জাদ হোসেনের বাবা মোহাম্মদ রুবেল শেখ। সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আমি। সংসারের দরিদ্রতায় লেখাপড়া চালিয়ে যেতে না পাড়ায় সাংবাদিক হাজী মোস্তফা কামাল স্যারের মাধ্যমে প্রেসক্লাবে পার্ট টাইম একটা কাজ পাই। বেতনের টাকায় এখন আমি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারছি। সেই কৃতজ্ঞতায় মোস্তফা স্যারকে সম্মান করি। কিন্তু হঠাৎ একদিন মোস্তফা স্যারকে মারার জন্য রায়হান স্যার কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে আটটি স্ট্যাম্প নিয়ে আসেন। বিষয়টি জানার পর মোস্তফা স্যারের শ্যালক সাংবাদিক কায়েস ভাইকে জানিয়ে দেই। উক্ত স্ট্যাম্পের একটি ছবিও দিয়ে দেই তাকে।
বিষয়টি জানাজানি হলে, রায়হান ভাই , ইউসুফ ভাই, টিটু ভাই,ও আশিক ভাই আরো অনেকেই আমাকে বলেন, ক্লাবের আলমারিতে দুই লক্ষ টাকা ছিল। সেই টাকা চুরির দায়ে তারা আমাকে ছয় বছর জেল দিবে এবং আমাকে আরো ভয়-ভীতি ও হুমকি দেন।
তারা আরো বলে তাদের কথা মতো আমি যদি কাজ না করি,থানা পুলিশকে খবর দিয়ে আমাকে ধরিয়ে দেবে। মোস্তফা স্যার ও কায়েস ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানটে কথা বলতে হবে। আমাকে থানায় নিয়ে তাদের কথামত মিথ্যা জিডি করতে বাধ্য করে। আমি বিবেকের তাড়নায় সংবাদ সম্মেলনে সঠিক তথ্যটি আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। সাংবাদিক মোস্তফা কামাল স্যার একজন সৎ লোক। তার শ্যালক সাংবাদিক কায়েস ভাইয়ের বিরুদ্ধে করা সাধারণ ডায়েরিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আমি আপনাদের মাধ্যমে সঠিক বিচার চাই। যারা আমাকে দিয়ে থানায় মিথ্যা জিডি দিতে বাধ্য করেছেন। তাদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সাজ্জাদের বাবা মোহাম্মদ রুবেল শেখ জানান, আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলেকে ভয় দেখিয়ে সাংবাকিদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা জিডি করতে বাধ্য করা হয়। আমার ছেলের সাথে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই তিনি গণমাধ্যের কাছে সত্যটা তোলে ধরেছেন। এখন ছেলেকে নিয়ে ভয়ে আছি। যদি কেউ কোন ক্ষতি করে। এজন্য আপনাদের সবার সহযোগীতা চাই।