ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন বাসক রেজি নং ১০৫৫৪ /০৯ এই সংস্থাটি ২০০৯ সাল থেকে সমগ্র বাংলাদেশে সমাজের অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে আসছে। আইনের সহায়তাক্রমে এর কার্যক্রম ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। উক্ত সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির এডমিন এবং রাজশাহী বিভাগের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মানিক, দপ্তর সম্পাদক, হুমায়ুন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রাজু, অন্যান্য নেতৃবৃন্দ নবগত ওসি মোহাম্মদ রাকিব হাসান মহোদয়কে ফুলের শুভেচ্ছা জানান, এ সময় উপস্থিত ছিলেন উল্লাপাড়া ও সলঙ্গা এবং তাড়াশের ভালোবাসার সিনিয়র সার্কেল এএসপি অমৃতসূত্রধর মহোদয়, ওসি মহোদয় জানান, সমাজের অপ্রীতিকর যে কোন ঘটনা সংঘটিত হলে অত্র মানবাধিকার সংস্থার কমিটির সদস্যগণ থানায় পৌঁছলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিবেন। মোহাম্মদ আলী জিন্না মানিক জানান, বর্তমান বিশ্বে মানবাধিকার ধারণাটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে, তবে এই ধারণাটি সাম্প্রতিক বা নতুন নয়। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে লালিত বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্যে মানবাধিকারের বিষয়টি খুঁজে পাওয়া যায়। হযরত মুহম্মদ (স.), যিশু খ্রীস্ট, গৌতম বুদ্ধ প্রমুখ মহামানবগণ ছিলেন মানবাধিকার ধারণার প্রবক্তা। বর্তমানকালেও মার্টিন লুথার কিং, মহাত্ম গান্ধী, মাদার তেরেসা, নেলসন ম্যান্ডেলা প্রমুখ ব্যক্তিগণের মধ্যে মানবাধিকারের বিষয়টি স্বরূপে ভাস্বর। মানবাধিকার ধারণাঃ ১৯১৪ সালের ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর মানবাধিকারের বিষয়টি মানুষকে ব্যাপকভাবে ভাবিয়ে তোলে। যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট নানা নৈরাজ্য, দুর্ভিক্ষ, হতাশা, অনাহার, নৈতিকতার অবক্ষয় প্রভৃতি অবস্থা উত্তরণের জন্য সমগ্র বিশ্বে একটি নীতির প্রয়োজন দেখা দেয়, যে নীতি দ্বারা বিশ্বের মানুষকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। এছাড়া পরবর্তীতে হিটলারের গঠিত ন্যাৎসী বাহিনীর অমানবিক অত্যাচার ও অনাচার থেকে মানুষকে রক্ষা করার কথা ভেবেছিলেন তৎকালীন বিশ্বের কিছু মানুষ। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রতিষ্ঠিত হয় মানবাধিকার। মূলত মানবাধিকার মানে বোঝায়- ক্ষুধা থেকে মুক্তি, ভোটের অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, শিক্ষার সুযোগ লাভ, ব্যক্তিচিন্তার স্বাধীনতা, চিকিৎসার নিশ্চয়তা, সকল অধিকার ভোগের নিশ্চয়তা, সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের সমান উন্নতির নিশ্চয়তা প্রভৃতি।
।।