Tuesday, September 16, 2025
spot_img

নোটিসঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি পার্সোনাল একাউন্ট থেকে নিউজ পাবলিশ করে থাকে, যে-কোনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।

HomeUncategorizedউল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক ২০০১ সালের চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড...

উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক ২০০১ সালের চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামী ইয়াছিন আলী গ্রেফতার। রাজশাহী বিভাগীয় সাংবাদিক ফটো কাজল খন্দকার রাজশাহী বিভাগ।

উল্লাপাড়া উপজেলার সবার ভালোবাসার মানুষ সার্কেল এএসপি অমৃত সূত্রধর, উল্লাপাড়া মডেল থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম এর সার্বিক সহযোগিতায় পূর্ণিমা রানী শীল র্ধর্ষণ একটি গণধর্ষণের ঘটনা যা বাংলাদেশে ২০০১ সালের ৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব দেলুয়া গ্রামে সংঘটিত হয়েছিল। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার সময় পূর্ণিমা রানী শীলকে (জন্ম:১৯৮৭) ধর্ষণ করা হয়েছিল। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং বিচার সম্পন্ন হয়েছে। মামলার রায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা করে জরিমানা হয়েছে।জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার পারবা দেলুয়ায় শীল ১২ বছরের একটি মেয়ে ছিল। তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। তার বোন দৃষ্টিশক্তি হারায় এবং তার পারিবারিক ব্যবসার সেলুন দুবার লুট করা হয়। ফলে তার পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। অনেকেই অভিযোগ করে, বাংলাদেশ জামাত-ই-ইসলামির কর্তৃক তাদের বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করার জন্য হিন্দু গ্রামগুলিতে একটি পরিকল্পিত আক্রমণের অংশ এটি ছিল। ওয়াহিদুল হক এবং শাহরিয়ার কবিরের উদ্যোগে ঢাকায় তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হিয়।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর ২০১০ সালের মে মাসে বিচার শুরু হয়। ২০১১ সালের ৪ মে শীলের ধর্ষণে জড়িত থাকার কারণে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।  তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয়জন হেফাজতে আছে এবং ৫ জন পলাতক। পূর্ণিমা রানী এই রায়ে খুশি ছিলেন না কারণ তার বিশ্বাস ছিল তার গ্রামের অন্তত দুজন অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল।

পূর্ণিমা রানী তার শিক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আর্থিক সাহায্যে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। এর আগে তিনি একটি টিভি স্টেশনে অল্প সময়ের জন্য কাজ করেন কিন্তু ফেসবুকে হয়রানির মুখে পড়তে হয়। তাকে সামাজিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। উপজেলা সার্কেল এএসপি অমৃত সূত্রধর বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় জন্যই মানুষের পাশে নিয়োজিত আছেন, এবং থাকবেন অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে শাস্তি পেতেই হবে।

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চীফ | ০১৭১৯-৮৩১২৬৯
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments