প্রকাশের সময় : ঢাকা,বৃহস্পতিবার,০২ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৭ আগস্ট , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ,২৯ মুহাররম,১৪৪৫ হিজরি,আপডেট : ০৩:৫০:৩৫ পিএম.
মোহাম্মদ সাইদ( স্টাফ রিপোর্টার): একদিকে পুলিশ আরেকদিকে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যেও আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত আছে। আজকে দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য স্বৈরাচারের গুলিতে ভয় পায়না পিছু হটে না।
বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ১১.৩০মি.বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী-দল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৮ তম জন্মদিন ও দীর্ঘায়ু কামনায় ঢাকা জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে জিনজিরা পার্টি অফিসে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আজ শঙ্কিত যিনি গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতীক তাকে তো সহ্য করবে না শেখ হাসিনা।বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় উদ্বেগ জানিয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, বেগম জিয়া স্বাভাবিকভাবে জেলখানায় গেলেন, তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ কেন জেলখানায় তার খাবারের মধ্যে সরকার কোনো কিছু মিশিয়েছে কি না এটা নিয়ে জনগণ আজকে সন্দেহ প্রকাশ করছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনারা মনে করে দেখুন সেই এরশাদের সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে, যারা এরশাদের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিবে তারা হবে জাতীয় বেঈমান। কিন্তু তার ৪৮ ঘণ্টা না যেতেই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে নির্বাচনে যাবেন। কিন্তু বেগম জিয়া নির্বাচন করেননি। এগুলো তো জনগণ যাচাই করেন। সুতরাং বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বেগম জিয়া জিতেছেন। শেখ হাসিনা কিন্তু জিততে পারেননি। এটাই বেগম খালেদা জিয়ার কৃতিত্ব।
খালেদা জিয়া ৯ বছর স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে নিরলস নেতৃত্ব দিয়েছেন, সংগ্রাম করেছেন। তার এই ভূমিকা গোটা জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন। যে নেতা জনগণের কাছে ওয়াদা পূরণ করে তাকে জনগণ কখনো ভুলে না। এটার দৃষ্টান্ত বেগম জিয়া।তিনি আজও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করছেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য মানুষের জন্য লড়ছেন। এ কারণেই তিনি শেখ হাসিনার টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। তাকে সহ্য করছে না সরকার।
আদালতকে ব্যবহারের মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় রায় দিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন জীবন যন্ত্রণায় ভুগছেন। তার জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি। আমাদের অনেকেরই সন্দেহ হয়, শেখ হাসিনার মতো এমন নিষ্ঠুর শাসক ক্ষমতায় থাকলে আরও ষড়যন্ত্র হবে।’
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বুধবার বলেছেন, তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু আপনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দায়িত্ব কার? আপনি ক্ষমতা থেকে সরলেন না কেন? ক্ষমতায় রাখা এবং ক্ষমতা থেকে সরানোর দায়িত্ব জনগণের। আপনিই তো জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, জনগণ যাতে সুষ্ঠু ভোটে অংশগ্রহণ করতে না পারে। এ কারণেই নিশিরাতের ভোট করছেন, একতরফা নির্বাচন করছেন। আমাদেরকে তো আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হয় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত। বিচারকদের দিয়ে জুলুমের পরিকাঠামো নির্মাণ করেছেন শেখ হাসিনা। আজকে আদালতকে দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।’
প্রধান অতিথি আরও বলেন,আপনারা দেখেছেন,ঠিক যেমন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়েও রহস্য দেখা দিয়েছে।উনি এমন এক আলেম উনার ভক্ত সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে।কেন ১৫ আগস্টের প্রাক্কালে তিনি মারা গেলেন হার্ট এটাকে যেই ডাক্তাররা তার ফাঁসির জন্য স্লোগান দিয়েছিল সেই ডাক্তারদেরকেই সাঈদীর চিকিৎসায় রাখা হয়েছিল। তাহলে এটা কি রহস্যের উদ্রেক না।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর পরিচালনায় এসময়প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন,বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম,বিএনপির নির্বাহি সদস্য ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী,নাজিমউদ্দিন নাজিমমাস্টার, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু,সিনিয়র সহ-সভাপতি শামীম হাসান,সাধারন সম্পাদক হাশমত উল্লাহ নবী,সিনিয়র যুগ্ন-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির,কেরানীগঞ্জ দক্ষিন থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মুজাদ্দেক আলি বাবু,এছাড়া আরও উপস্হিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত,ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি, রেজাউল কবীর পল, ও সাবেক ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাজী মাসুম,মাহমুদুর রহমান সুমন,প্রমুখ।
পরে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রধান অতিথি কেরাণীগঞ্জ জিনজিরা এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন।