কক্সবাজার র্যাব-১৫ র অভিযানে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ কারিগর আটক
এম ডি বাবুল সি:বি:প্রতিনিধি
র্যাব-১৫ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন ০২নং হ্নীলা ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম জুম্মাপাড়া এলাকার লামা শীলের ঝিরি পাহাড়ের পাদদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্যসহ কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ০৯/০২/২০২৪ তারিখ অনুমান ১৯.৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকার নিকটবর্তী স্থানে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কতিপয় ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে মোঃ মনিরুল হক (৬০), পিতা-মৃত আব্দুল জলিল, মাতা-মৃত মেহেরজান, সাং-কোদালিয়া কাটা (ছমুদা বড় বাড়ী), ০৮নং ওয়ার্ড, ঈদগড় ইউনিয়ন, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন ব্যক্তি কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে অভিযানস্থল হতে সর্বমোট ০২টি দেশীয় তৈরী এক নলা বন্দুক, ০২টি দেশীয় তৈরী এলজির ব্যারেল, ০২টি হাতল ব্যতীত দেশীয় তৈরী এলজির বডি, লোহার তৈরী দেশীয় এলজির ট্রিগারের বিভিন্ন ছোট অংশ ১৪টি, ০১টি কাঠের হাতল যুক্ত করাত, ০১টি লোহার তৈরী ড্রিল মেশিন, লোহার তৈরী বেঞ্চ বাইছ ০১টি, ০১টি লোহার T আকৃতির বস্তু (যার লোহা পিটানো কাজে ব্যবহৃত হয়), হাতুড়ী ০২টি, ব্লেড সংযুক্ত একটি হেস্কো মেসিন (যা লোহা কাটার কাজে ব্যবহৃত হয়) ও হেস্কো ব্লেড ০৫টি, প্লাস ০২টি, কাটিং প্লায়ার ০১টি, লোহার তৈরী চিমটি ০১টি, স্ক্রু ড্রাইভার ০১টি, বাটাল ০১টি, রানদা ০১টি, লোহার পাইপ ০৫টি এবং তার কাটা ৬৬টি উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজারের অন্যতম শীর্ষ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নির্মাতা ও যোগানদাতা হলেন মনিরুল ইসলাম ওরফে মনির মাস্টার। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুল স্বীকার করে যে, সে এ পর্যন্ত সহস্রাধিক আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করেছে এবং অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে মনিরুল ইসলাম থেকে মনির মাস্টার উপাধি পেয়েছে। এছাড়াও সে জানায় যে, তার পিতার নিকট থেকে সে অস্ত্র তৈরির প্রশিক্ষণ নেয় এবং দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ অস্ত্র তৈরি পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, সে এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামীগণের সহযোগিতায় নিজেরা পরস্পর পরস্পরের জ্ঞাতস্বারে এবং সহযোগীতায় কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরীর প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে দেশীয় বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র বর্ণিত গোপন আস্তনায় তৈরী করে কক্সবাজার শহর ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং আরসা সদস্যদের নিকট উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে থাকে।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ও অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।