প্রকাশের সময় : ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২ ফাল্গুন১৪৩০ বঙ্গাব্দ,১৫ ফ্রেরুয়ারী ২০২৪খ্রিস্টাব্দ,৪ শাবান ১৪৪৫ হিজরি,আপডেট :০৮.৩০:৩৫ পিএম.
মোহাম্মদ সাইদ ( স্টাফ রিপোর্টার) : ঢাকা কেরাণীগঞ্জে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় ও পেশাদার চোর-চক্রের ০৬ সদস্য গ্রেফতার করেছে কেরাণীগঞ্জে মডেল থানা পুলিশ ।এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি করা স্বর্ন-অলংকার, নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
১৫ ফ্রেরুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবির।তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা ও আশেপাশের এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে বাসাবাড়িতে চুরির ঘটনা বেড়ে যায়। একটি সংঘবন্ধ চোরচক্র যে বাসায় কেউ নেই এমন তথ্য সংগ্রহ করে চুরি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহাব উদ্দিন কবির ঘটনার বর্ননায় বলেন, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা টিনপট্টি আমজাদ এর চার তলা বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় গত ৬ ফেব্রুয়ারী ১১ টার সময় এ মামলার বাদীর ফরহাদের স্ত্রী গ্রামের বাড়ী থেকে ফিরে এসে দেখে তাহার ভাড়াটিয়া বাসার রুমের দরজা তালা ভাঙ্গা অবস্থায় রুমের ভিতরে থাকা সবকিছু এলোমেলো, আলমারীর ড্রয়ারে থাকা নগদ ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা, তাহার স্ত্রী,০৫ (পাঁচ) ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার, মূল্য অনুমান ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা,এছাড়া হাত ঘড়ি,দুটি মোবাইলসহ সর্বমোট ৭,১৪,০০০/-(অনুমান) সাত লক্ষ্য চৌদ্দহাজার টাকা।তাদের ধারনা চোর চক্ররা ঐদিন সকাল ৯.০০ হতে অনুমান ১১ টার মধ্যে সঙ্গবদ্ধ দল এ ঘটনা ঘটায়।
উত্ত চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাড়াটিয়া মোঃ ফরহাদ (8৬) গত ৮ ফ্রেরুয়ারী বাদী হয়ে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার মামলা করেন মামলা নং- ১২, ধারা- ৪৫৪/৩৮০ পেনাল কোড ।ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এ মামলার গুরুত্ব সহকারে তদন্ত ও আসামীদের আটক করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জনাব আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম এন্ড অপস (দক্ষিণ) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে জনাব শাহাবুদ্দিন কবীর, বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেরাণীগঞ্জ সার্কেল এর নেতৃত্বে ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তফা কামাল এর সার্বিক সহযোগীতায় এসআই (নিঃ) জিয়া উদ্দিন, এসআই (নিঃ) অলক কুমার দে, এসআই (নিঃ) রিয়াজ হােসেন এবং এএসআই (নিঃ) আল-আমিন খন্দকার এর সমন্বয়ে একটি চৌকস তদন্ত টিম সংঘবদ্ধ এই চোরচক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে কার্যক্রম শুরু করে।
তদন্তের এক পর্যায়ে উক্ত মামলার আসামীদের সনাক্ত করে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।আসামীরা হলেন ১। তোফাজ্জল হোসেন বুলু (৩০) কে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় এই চুরির ঘটনায় আরও ০৩ জন জড়িত। পরবর্তীতে মামলার ঘটনায় জড়িত আসামী ২। সজল(২১), ৩। সাগর(২১), ৪। রাসেল (২৫), ৫। সোহেল (৩০), ৬।হাসান (৫০)।
আসামীদের হতে উদ্ধার মালামাল, ০২টি আংটি, এক জোড়া কানের দুল, স্বর্ণের মোট ওজন ৯ আনা ৪ রতি, নগদ বিশ হাজার টাকা।