– মোহাম্মদ সাইদ, কেরানীগঞ্জ
হায় রে ব্রিজ! দূর্ভোগ লাঘব তো দূরের কথা,ব্রিজটি গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িযেছে এলাকাবাসীর। এ্যাপ্রোচে মাটি না থাকা উল্টো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে ব্রিজটি। নির্মাণ শেষ হওয়ার পর থেকেই এই দশা। কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের প্রকল্পে ৪-৫ বছর আগে উপজেলার শাক্তা ইউনিয়নের কামারতা এলাকাবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের প্রকল্পের অর্থে রামেরকান্দা- রাজাবাড়ি যাওয়ার সড়কের পাশে কামারতা গ্রামের অপর অংশের বাসিন্দাদের যাতায়াতে দূর্ভোগ লাঘবে ৪-৫ বছর আগে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এতো বছর প্রেরিয়ে গেলেও ব্রিজের এ্যাপ্রাচ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসীকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রিজ আছে অথচয় এ্যাপ্রোচে মাটি নেই। বর্ষায় এ দূর্ভোগের আরোও সীমা থাকে না। ব্রিজটি যেন উল্টো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। উত্তর ধর্মশুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ ফয়জর মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছে ঠিকই কিন্তু এলাকাবাসী চলাচলে মারাত্মক হুমকী সৃষ্টি করেছে ব্রিজটি। ব্রিজের দু” পাশের মাটি নেই। ব্রিজের উত্তর পাশে সডকও নেই। ব্রিজের উপর থেকে নামতে গেলে বিশাল খাতে নামতে হয়, তারপর সড়কে উঠতে হয়। ব্রিজের পাশের একটি মসজিদ, মাদ্রাসা রয়েছে। মসজিদ ও মাদ্রাসার লোকজন ব্রিজের দু” কোন রকম বালির বস্তা ও দুই পাশে বাঁশ দিয়ে হাতল বানানো হয়েছে। এই ব্রিজ কামারতা ও উত্তর ধর্মশুর বাসিন্দাদের দূর্ভোগ লাঘবে কোন উপকার হয়নি। মোঃ হবি মিয়া জানান, ব্রিজ ছিলনা, ভাল ছিল। ব্রিজের উপর থেকে নিচে নামতে একতলা ভবনের মতো খাদে নামতে কার, কখন হাত, পা ভাঙ্গে বড়ই মুশকিল হয়েছে। এটি এখন দূর্ভোগ লাঘব তো দূরের কথা, ব্রিজটি গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িযেছে এলাকাবাসীর। । ছেলে মেয়েরা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যায় অনেক কষ্টে। আর বৃদ্ধা মানুষ তো ব্রিজ থেকে নিচে নামার উপায় নেই। ৪-৫ বছর হলো ব্রিজের দু”পাশে মাটি নেই। দেখার কি কেউ নেই। এলাকাবাসী ব্রিজের দু’পাশে মাটি ভরাট করে জনদুর্ভোগ লাঘব করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।