মোহাম্মদ সাইদ (স্টাফ রিপোর্টার): ঢাকার কেরানীগঞ্জ যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূকে মারধর করে সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বামী হামিদুল ইসলামসহ শাশুড়ি ইয়াসমিন বেগম, ননদ বুবলী আক্তার ও ননদের স্বামী রাজু আহমেদকে আসামী করে গত রোববার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন নীলা আক্তার নামের ওই গৃহবধূ। এদিকে গত বুধবার ঢাকা জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্বসমর্পন করে জামিন নিতে গেলে জামিন আবেদন না মন্জুর করে নীলার শাশুড়ি ইয়াসমিন বেগম, ননদ বুবলী আক্তার ও ননদের স্বামী রাজু আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। গত বুধবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহানা ইয়াসমিনের আদালত এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
গৃহবধূর বাবা শাহিন বলেন, ‘হামিদুল ফুসলিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই সে যৌতুক দাবি করে আসছে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তাঁকে ২ লাখ টাকা দিই। এর পরেও সে যৌতুক দাবি করে। সেই দাবি মেটাতে না পারায় প্রায়ই মেয়ের ওপর নির্যাতন চালায়।’
তিনি আরো বলেন, এমনকি এ ঘটনায় আমার মেয়ে মামলা করায় তারা আমার মেয়ের উপর আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়েছে। আমার মেয়ের ননদের জামাইয়ের ভাই সাজু আহমেদ আদালত প্রাঙ্গনেই আমার মেয়েকে দেখে নেয়ার ও মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেন ।
নীলা আক্তার বলেন, ‘আমাদের শোয়ার ঘরে বন্ধুকে নিয়ে মাদক সেবন করে হামিদুল। আমি বাধা দেওয়ায় কয়েকবার আমার মাথা ফাটানোসহ পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। ১২ সেপ্টেম্বর রাতে আমাকে ৫ লাখ টাকা এনে দিতে বলে। এতে অপারগতা জানালে শাশুড়ি, ননদ ও তাঁর স্বামীকে নিয়ে আমাকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে বাড়ি থেকে বের করেন দেয় হামিদুল। পরে বাবার বাড়ির লোকজনের সহায়তায় মিটফোর্ড হাসপাতালে গিয়ে হাতে ৫টি সেলাই দিতে হয়েছে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, মামলার প্রধান আসামী ছাড়া বাকি আসামীরা আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে আসামীদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।