প্রকাশের সময় : ঢাকা, সোমবার,২৯মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,১২ ফ্রেরুয়ারী
২০২৪খ্রিস্টাব্দ,১ শাবান ১৪৪৫ হিজরি,আপডেট : ০৫৩০:৩৫ পিএম.
মোহাম্মদ সাইদ (স্টাফ রিপোর্টার): ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থেকে মাদরাসা ছাত্র মো. তাওহীদ ইসলামকে (১০) অপহরণ করার পরে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী।মুক্তিপণ পাওয়ার পরেও তাওহীদকে হত্যা করে ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী মকবুল হোসেন (৩৭)। রোববার ১১ ফ্রেরুয়ারী রাত ৯টায় রাজধানীর শ্যামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০।
এ ঘটনায় গ্রেফতার মো. মকবুল হোসেনের তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে তাওহীদ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।তাওহিদ আব্দুল্লাহপুর রসুলপুর মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় আব্দুল্লাহপুর মধ্যপাড়া থেকে তাওহীদকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা তাওহীদদের বাসার পাশে একটি মোবাইল ফেলে রেখে যায়। সেই মোবাইলে কল করে তারা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ছেলেকে ফিরে পেতে তিন লাখ টাকা দিতে রাজি হন তাওহীদের মা। তবে তারা ১০ লাখের কমে তাকে ফিরিয়ে দেবে না বলে জানায়।
পরে অপহরণকারীরা তাসলিমা আক্তারকে তিন লাখ টাকা নিয়ে মাওয়া সড়কের রাজেন্দ্রপুর ওভার ব্রিজের ওপরে একটি পিলারের নিচে রেখে যেতে বলেন।এ ঘটনা র্যাবকে জানানো হয়। এরপর ওভার ব্রিজের নিচ থেকে টাকা নেয়ার সময় হাতেনাতে মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করেন র্যাব সদস্যরা। পরে মকবুল র্যাবকে জানান, তাওহীদের লাশ আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে রাখা আছে। সোমবার ভোরে রানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছন থেকে তাওহীদের লাশ উদ্ধার করে র্যাব । পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তাওহীদ হোসেনের মামা মো. মহসিন হোসেন বলেন, আমার বোনের স্বামী উজ্জ্বল হোসেন সৌদি প্রবাসী হওয়ায় আমার ভাগ্নেকে টার্গেট করেন অপহরণকারীরা। গ্রেফতারকৃত মকবুল হোসেনের বাড়ি কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার রোহিতপুর ইউনিয়নের লাকিরচর এলাকায়। তিনি কয়েকমাস ধরে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর মধ্যপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন।
দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুব রহমান বলেন, তাওহীদের লাশ উদ্ধার করেছেন র্যাব সদস্যরা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।