বিভাগীয় ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রামঃ ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়, আয়রে সাগর আকাশ বাতাশ দেখবি যদি আয়”।”তোরা দেখে যা আমেনা মা এর কোলে,আজি মাতিল বিশ্ব – নিখিল মুক্তি – কলরোলে। আজ ১২ ই রবিউল আউয়াল, এ দিনে বিশ্ব মানবতার দূত মহামানব শেষ নবী আল্লাহর প্রেরিত রাসূলের ( স.) আগমন ঘটে।
এই ধরাতে,ঐ দিন আরবের মরুপ্রান্তরে মা আমেনার কোলে পৃথিবীকে আলোকিত করে জন্ম গ্রহণ করেন নবী করিম ( স.)।দোজাহানের বাদাশাহের আগমন উপলক্ষে দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ঈদ এ মিলাদুন্নবী (স.) জুলুস উদযাপিত হয়ে আসছে।
এই জুলুশকে বিশ্বের সবচাইতে বড় জুলুশ বা ইসলামিক শোভাযাত্রা বলা হয়, পবিত্র ঈদ এ মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে চট্টগ্রাম এ প্রতি বছর জসনে জুলুসে লাখো ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে। ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রামে বলুয়ার দিঘী খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈবয়িয়া থেকে বাংলাদেশে সর্ব প্রথম জুলুসটি বের করে আঞ্জুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট।
১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এই জুলুসে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের ছিরিকোট দরবার শরীফের পীর সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রা.), ১৯৭৬ সালের পর থেকে ঈদ এ মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ১২ ই রবিউল আউয়াল চট্টগ্রামে জুলুসের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে যা ক্রমানয়ে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, দরবার,সংগঠন ও সংস্থা গুলো আয়োজন করতে শুরু করে।সৈয়দ মোহাম্মদ তৈয়ব শাহ এর পর ১৯৮৬ সালের পর থেকে তার সন্তান সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের শাহ এই জুলুসের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
প্রতি বছরের মত আজকের দিনেও ফজরের নামাজের পর সকল ধর্মপ্রান মুসলমানগণ নানা ধরনের ইসলামিক গজল, নাথ,এবং নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর,নারায়ে রিসালাত ইয়া রসূলাল্লাহ এই ধ্বনিতে চট্টগ্রাম এর অলি গলিকে মুখরিত করে তোলে, মুসলমানদের মধ্যে হয় খাবার বিতরনের প্রতিযোগিতা, যা তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে ভাতৃত্ববোধ। চট্টগ্রামে জসনে জুলুসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বছর গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড এর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম এসেছেন জুলুসটি পর্যবেক্ষণ করতে।