চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ব্যারিষ্টার মঈনুল হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আলোচনা সভায় মেয়র ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন
আজঁম খান চট্রগ্রাম জেলা ব্যুরো
৯ ডিসেম্বর সোমবার অপরাহ্নে জামাল খান সড়কস্থ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এস রহমান হলে দৈনিক ইত্তেফাক ও দি নিউ নেশন সম্পাদকমন্ডলীর সাবেক সভাপতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি)র সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সাবেক সদস্য, বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের মাননীয় সদস্য ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সাংবাদিক খোরশেদ আলম। বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক এস এম জামাল উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব সাংবাদিক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন,বিশ্বের চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের প্রেস কাউন্সিল ও বাংলাদেশ সদস্য সচিব সাংবাদিক নেতা জাহিদুল প্রেস কাউন্সের সাবেক নির্বাহী সদস্য মঈনুদ্দীন কাদেরী শওকত বিশেষ অতিথি ছিলেন,জাহেদুল করিম কচি,এতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার সহ সভাপতি নূর মোহাম্মদ পুতু,মোস্তফা আলম মাসুম, নির্যাতিত যুবনেতা নাসির উদ্দিন, সাকিবুল ইসলাম সিপু, সাংবাদিক খোরশেদ আলম, কবি সজল দাশ, সাংবাদিক বশির আল মামুন, শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এস এম তারেক, সাংবাদিক মোঃ আজম খাঁন, এম আর তৌহিদ, মো: হাসানুল আলম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জননেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে পড়ে ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন নির্যাতিত হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন। মহান স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জৈষ্ঠ্য সন্তান ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন, এমনকি তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দেশ ও জাতি গঠনে নিরলসভাবে বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সোচ্চার ছিলেন। তিনি বলেন, সংবাদপত্র জগতে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ছিলেন আজীবন কিংবদন্তি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানবাধিকার সংরক্ষণ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ছিল ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের একমাত্র ব্রত। তিনি আরোও বলেন, এই সংগঠন সুদীর্ঘ ৩ দশক যাবৎ দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। তাদের কর্মকান্ড স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি তাদের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে সাংবাদিক এস এম জামাল উদ্দিন বলেন, দৈনিক ইত্তেফাক ও দি নিউ নেশন সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। সংবাদপত্র, সাংবাদিক, রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবি, আইনজীবী ও পেশাজীবি সকল মহলের নিকট তিনি ছিলেন এক অনুকরণীয় ও অনুস্মরণীয় দৃষ্টান্ত। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে স্মরণ করলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। অনুষ্ঠানে দুইজন সাহসী সোচ্চার প্রতিবাদী কণ্ঠকে মানবাধিকার পুরস্কার-২০২৪ ভূষিত করা হয়।