সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
নওগাঁর মহাদেবপুরে পারিবারিক শত্রুতার জেরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোরসালিন (১৭) ও মিনহাজ (১৩) নামের দুই শিক্ষার্থীসহ তাদের বাবাকে মিথ্যা মামলায় দিয়ে ফাঁসানো অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ কোর্টের নোটিশ জারী কারক মো. আবু সাঈদ ও তার স্ত্রী কম্পিউটার অপারেটর শারমিন সুলতানার বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওই দুই শিক্ষার্থীর বাবা মো. মতিউর রহমান প্রধান বিচারপতি ও জেলা দায়েরা জজ বরাবর বুধবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার তারা আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত মিনহাজের বাবা ও ভাইকে জামিন দিলেও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনহাজকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ কোর্টে নোটিশ জারী কারক হিসেবে কর্মরত মোঃ আবু সাঈদ ও কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা সম্পর্কে আমার ভাতিজা ও ভাতিজা বউ । তারা স্বামী ও স্ত্রী নওগাঁ কোর্টে চাকুরী করার সুবাদে ক্ষমতার অপ-ব্যবহার ও দাপট দেখিয়ে আমাকে সহ আমার কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলেকে হত্যার হুমকি সহ ভয়ভিতি দেখিয়ে ও একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হুমকির মুখে রেখে জোর পূর্বক আমাদের জায়গা জমি দখল করে আসিতেছে। এমনকি নোটিশ জারী কারক আবু সাঈদ তার ভাই, বোন ও মাকে বাদী করে গত ৪ বছরে অগ্নি সংযোগ, স্বর্ণলংকার লুটপাট, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজী, চুরি সহ নানা মিথ্যা অভিযোগ তুলে নওগাঁ আদালত ও মহাদেবপুর থানায় মোট ৬ টি মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে। আমি সিএনজি চালানোর পাশাপাশি গ্রামে বাড়ির পাশে ছোট দোকান ও কৃষি কাজ করে পরিবার নিয়ে জীবন-যাপন করি সর্বশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আমি আমার কলেজ পড়ুয়া বড় ছেলে মো. মোরসালিন এবং আমার ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট ছেলে মিনহাজকে সাথে নিয়ে জমিতে আইল দেওয়ার কাজ করার সময় আবু সাঈদ তার স্ত্রী, ভাই, শ্যালকসহ পরিবারের লোকজন নিয়ে হঠাৎ করেই জমিতে এসে আমাদের এলোপাথারী ভাবে মারপিট শুরু করেন। এসময় তাদের মারপিটে আমি ও আমার দুই ছেলে আহত হলে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতেও বাধা দেন। খবর পেয়ে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে আবু সাঈদ তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশের সহযোগীতায় স্থানিয়রা আমাদের তিনজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এসময় আমার ছেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চার দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। এঘটনায় আবু সাঈদ তার মা সকিনাকে বাদী করে ফের চাঁদাবাজী, শ্লীলতাহানী, চুরিসহ আরো ধারা যুক্তকরে আবারো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এব্যাপারে মতিউর রহমান বলেন, আবু সাউদ ও তার স্ত্রী বিচারিক আদালতে কর্মরত থাকায় বিচারিক আদালতের ক্ষমতা প্রয়োগে আমকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা হয়রানী করে যাচ্ছে। তারা আমিসহ আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে বলে ৯৭ জন এলাকাবাসী গণ স্বাক্ষর করে দিয়েছে যা আমি প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই। এবিষয়ে জানতে আবু সাঈদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।