এসএম রুবেল,চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি,
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়ন লহলামারী সাহেবগ্রামের আব্দুল আলীমের জীবন থমকে গেছে ক্যান্সারে। যদিও আলীমকে বাঁচানোর চেষ্টায় কমতি রাখেনি তার পরিবার। নিম্নবিত্ত পরিবারটি ক্যান্সার আক্রান্ত আলীমের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসার জন্য ৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সবশেষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল তাকে আবারো কেমু থেরাপি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবেই বাঁচবে আলীম। এজন্য প্রয়োজন আরও ১,৫০০০০/- লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা যা নিম্নবিত্ত পরিবারটির পক্ষে যোগাড় করা অসম্ভব।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, লহলামারী সাহেবগ্রামের মৃত সমসের আলীর পুত্র আলীম (৫০) ২০২০ সাল থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত। আলীম এলাকায় দিন মজুরী করে তার জীবিকা নির্বাহ করতেন সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তিনি, তার অসুস্থতার কারণে তার জীবন সহ থমকে গেছে তার পরিবারের সদস্যদের জীবন।
লহলামারী সাহেবগ্রামের পল্লী চিকিৎসক আবুল বাশার জানান, তিন বছর ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত আলীম। প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ঘুরে চিকিৎসা নিয়েছেন, এবং সর্বশেষ তিনি সেবা ক্লিনিক চিকিৎসা নিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসক,তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেফার্ড করেন,পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক তাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং সেখানে তার ক্যান্সার প্রতিরোধের চিকিৎসা নেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ে আটটি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। তবে কেমোথেরাপি দেওয়া সত্ত্বেও তার শরীরে পুনরায় ক্যান্সারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।আলীমের ছেলে বলেন, এ অবস্থায় আমাদের পক্ষে এতো টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই বাবার চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই।আলীমকে সহায়তা করতে চাইলে তার ছেলে সাহেবের ০১৭৮৫-৫৯৬৬৯৩ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেছে পরিবারটি।