নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট থানার কর্মরত এক পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভোলাহাট উপজেলার ‘ফুটানি বাজার গ্রামীণ টাওয়ার সংলগ্ন কারবারি ও মাদক সেবনকারী কারিমুল (৩৩) ও সায়েম (২৮) নামে দুই জনকে আটক করার পর ঘটনাস্থলে রফাদফা হয় বলে দাবি করছেন সেখানকার স্থানীয় অনেকেই।
জানা যায়, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৮ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলাহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর মাইনুল সহ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রওনা হন মাদক কারবারিদের উদ্দেশ্য। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে ফুটানি বাজার কারবারি কারিমুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসময় কারিমুল ও সায়েমকে ঘরের ভেতর থেকে আটক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে সেসব করা দুই পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটক করার পর পুলিশ সদস্যরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন সেখানকার স্থানীয়রা। জানা যায় স্থানীয়দের দাবিতে পুলিশ মাদক সেবনকারীদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তবে এলাকাবাসী জানান, পুলিশের এই ঘুষ লেনদেনের ঘটনা আমরা অবগতনা।
এবিষয়ে জানতে মুঠো ফোনে এসআই মাইনুল বলেন, “ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” আমরা জনগণের সেবক তবে মাদক কারবারি ও সেবনকারীদের আমরা হাতেনাতে পেলে আমাদের ছেড়ে দেওয়ার কোনমতেই নির্দেশনা নেই। তাদের শুধু ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সেখানকার একাধিক গ্রামবাসীর সুপারিশ ও দাবি ছিলো তাদের একবার শোধরানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য একাজ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও জানতে ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,“আমি বিষয়টি জানি না। সত্য-মিথ্যা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। তিনি আরও বলেন অনেক সময় জনগণের দাবি আমাদের মানতে হয়, কারন জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে এক বুদ্ধিজীবী মনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ জনতা জনতার পুলিশ, সেক্ষেত্রে অনেক সময় সিচুয়েশন মোকাবেলা করার জন্য পুলিশকে অনেক কিছু মেনে নিতে হতে পারে। জনগণের সুপারিশ মানতে দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা ও পুলিশের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে দেখা গিয়েছে। এ মন্তব্যের অনেকেই সহমত পোষণ করেন।