মোঃ শামীম শাহরিয়ার(ব্যুরো চিফ রাজশাহী বিভাগ):
রাজশাহীর চারঘাটে হঠাৎই বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। আর চালের বাজার লাগামহীন হয়ে পড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। রমরমা বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে চাল ব্যবসায়ীদের উপজেলা সদরসহ কাকরামারী, সারদা, নন্দনগাছী এলাকার বিভিন্ন চালের আড়ত ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্রি।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের পাইকারী ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারসাজিতে কমছে না দাম। কবে কমবে তাও বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। এসব পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম বস্তা প্রতি বেড়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। এ দিকে ক্রেতারা বলছেন, চালের দাম দ্রুত না কমলে বাজাওে অন্য খাদ্য পণ্যের অস্থিরতা বাড়বে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষ।আর বিক্রেতারা বলছেন, মিল ও পাইকারী আড়ৎ গুলোতে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে খুচরা বাজাওে এর প্রভাব পড়েছে। সারদা বাজারে চাল কিনতে আসা দিনমজুর আবদুর রহিম বলেন, চালের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে দিন মজুরদের তিন বেলার বদলে দুই বেলা খেয়ে বাঁচতে হবে।
অন্যথায়না খেয়ে থাকতে হবে। সারাদিন কাজ করলে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা মজুরি পাওয়া যায়। সেই হিসেবে চালের বাজারে আসলে মাথা ঘুরে যায়। এঅবস্থার মধ্যে দুই কেজি চাল কিনলেই শাক-সবজি, তেল-মসলার টাকায় টান পড়ে। অন্য খরচ তো রয়েছে। সারদা বাজারের চালের আড়তদার মাসুদ রানা বলেন, আমরা রাজশাহীসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও কুষ্টিয়া থেকে পাইকারি আড়ত ও মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল এনে থাকি। তবে সেখানেও বাজার ঊধ্বমুখী। আজ থেকে ১০-১৫ দিনআগে ৫০ কেজির বস্তা মিনি কেট বিক্রি হয়েছে ৩২শ’ টাকা থেকে ৩৩শ টাকায়। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। মোটা চাউল গত সপ্তাহে ছিল ২৪০০শ টাকা থেকে ২৫০০ শ টাকা। বর্তমানে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়।
উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আরিফ হোসেন বলেন, কোন ব্যবসায়ী কার সাজির মাধ্যমে চাউলের দাম বৃদ্ধি করলে
কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এজন্য দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভ্রাম্যমান আদালত
পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
মোঃ শামীম শাহরিয়ার
ব্যুরো চিফ রাজশাহী বিভাগ
১৩ জানুয়ারী/২৫ ইং, ০১৭৪৪৩১৫৩৮৬