Tuesday, September 16, 2025
spot_img

নোটিসঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি পার্সোনাল একাউন্ট থেকে নিউজ পাবলিশ করে থাকে, যে-কোনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।

Homeবাংলাদেশচারঘাটে মশার কামুড়ে নাজেহাল অবস্থা, নিয়ন্ত্রনে কার্যকর ব্যবস্থা চায় চারঘাট উপজেলা বাসী

চারঘাটে মশার কামুড়ে নাজেহাল অবস্থা, নিয়ন্ত্রনে কার্যকর ব্যবস্থা চায় চারঘাট উপজেলা বাসী

মোঃ শামীম শাহরিয়ার (ব্যুরো প্রধান রাজশাহী বিভাগ):
মশার কামুড়ে নাজাহাল রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বাসী । বাসাবাড়ি, অফিস আদালত, স্কুল কলেজ, দোকান পাট সর্বোত্রই যেন মশার উপদ্রব। গত কয়েক বছর ধরে এডিশ মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু সংক্রামন ভুগিয়েছে চারঘাট উপজেলা বাসী কে। প্রান যায় বেশ কয়েকজনের। জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার ছিল চারঘাটে সবচেয়ে বেশি।
গত কয়েক বছরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে মশার উপদ্রব বেশি থাকলেও এখন তা বছর জুড়ে দেখা যায়। দিনের পর দিন গেলেও মশা কমে না। উপজেলার একমাত্র পৌরসভার মশা নিধনের কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না। অধিকাংশ সময় পৌরবাসি ব্যর্থতায় দেখেছে। বছর জুড়ে মশা নিধনে বরাদ্দ থাকলেও এর সুফল পায় না পৌরবাসি। কোন কোন সময় লোক দেখানো কার্যক্রম হাতে নিলেও অধিকাংশ সময় তা মুখ থুবরে পড়ে। মশার কামড় খাওয়া ও অসুস্থ হওয়ায় যেন কাল হয়েছে পৌরবাসীর।
মশা নিধনে পৌর কতৃপক্ষ কোন কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল আওয়াল। কোন কোন সময় লোক দেখানো ঔষুধ ছিটাতে দেখা গেলেও চলতি বছরে এখন পর্যন্ত পৌরসভার এ সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে নি। ফলে রাত দিন সবময় মশার কামড় খেয়ে থাকতে হয়। তবে সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। সারাদিন কয়েল অথবা মশাড়ি টাঙ্গিয়ে রাখতে হয়।
সরেজমিনে পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে গিয়ে ঘুরে দেখা যায় যে, প্রায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশা নিধন কার্যক্রম অপ্রতুল, নিয়মিত লার্ভিসাইড স্প্রে করা হয় না। নামমাত্র কয়েকটি স্থানে যেমন উপজেলা পরিষদ চত্বর, বাজার ও পৌরসভার ভিতর ইত্যাদি। জলাবদ্ধতা ও অপরিচ্ছন্ন ড্রেনের কারনে মশার বংশ বিস্তার করেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এক গৃহবধূ আফরোজা বলেন, বাসা বাড়িতে মশার উপদ্রব থেকে বাচঁতে বাধ্য হয়ে সন্ধ্যার সময় মশারি টাঙ্গিয়ে নেন। মশা বেড়ে গেলে কয়েলও অনেক সময় কাজ করে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ই আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জনপ্রতিনিধিরা দ্বায়িত্বে না থাকায় মশন নিধন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে মশা নিধনে পর্যাপ্ত প্রশাসনিক তদারকি না থাকায় মশক নিধনে নিযুক্ত কর্মীদের মাঠে কাজ করতে গা ছাড়া ভাব চলে আসে বলে জানিয়েছেন একাধিক পৌরবাসী। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম এলাকায় মশার কামুড়ে অতিষ্ঠ।
এই প্রসঙ্গে যোগাযোগ করলে পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোবারক হোসেন এর মোবাইল ফোনে কল করে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করার জন্য ইতিমধ্যে একটি মিটিং এর আয়োজন করা হয়েছে এবং যতদ্রুত সম্ভব মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

মোঃ শামীম শাহরিয়ার
ব্যুরো প্রধান রাজশাহী বিভাগ 
 ০১৭৪৪৩১৫৩৮৬

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments