সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে মোহাম্মদ মাহফুজ আলম শ্রাবণ (২১)নামের এক ছাত্র নিহত হয়েছিল। গত সোমবার (৫ আগস্ট) বেলা ২:৩০ মিনিটে ঢাকা মিরপুর ১০ এ পুলিশের গুলিতে আহত হন। আহত অবস্থায় ছাএ জনতা ডা আজমল হসপিটাল লি: নিয়ে যান সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউপির দোগাছি গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। নিহতের বাবা মোশারফ হোসেন মটর মেকানিক হওয়ায় তাদের পরিবারসহ মহাদেবপুরে থাকতেন।নিহত শ্রাবণ ২০২১ সালে মহাদেবপুর সর্বমঙ্গলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০২৩ সালে রাইগা ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এসসি পাস করেন। তার বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পির সাথে কথা বলে জানা যায়, শ্রাবণ ২০২৩ সালে এইচ এসসি পাস করার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকাতে পারি জমান এবং গত ছয় মাষ আগে শিক্ষার পাশাপাশি রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যাল লি: এ ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে যোগদান করে।চাকুরিরত অবস্থায় গত (৫ আগস্ট) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সে যোগ দেন এবং সেখানে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। বাবা মোশারফ হোসেন বলেন, আমার ছেলের কি অপরাধ ছিল? অপরাধ করেনি শুধু আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলো।সে তো কোন পুলিশকে মারেনি।আমার নিষ্পাপ নিরপরাধ ছেলেকে কেন গুলি করে হত্যা করা হলো আমি এর বিচার চাই এবং আমার ছেলেসহ সকল ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের কে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদি মর্যাদা দেওয়া হোক।
মহাদেবপুর উপজেলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সভাপতি সুলতান মামুনুর রশিদ বলেন, ছাত্ররাই আগামীর ভবিষ্যৎ, সে অনেক মেধাবী ছিল। তার ইচ্ছে ছিলো একজন বড় অফিসার হবে কিন্তু সে এখন মৃত।তার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই মৃত্যুর যেন বিচার করা হয় এবং তাকে সহ সকল নিহতদেরকে শহীদি মর্যাদা দেওয়ার দাবি।গত ৬ আগষ্ট বেলা ১১ টায় তার জানাযায় হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে তিনি এসব কথা বলেন। নওগাঁয় ছাত্র জনতার দাবি ছাত্র আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের সবাইকে রাষ্ট্রীয় ভাবে শহীদি মর্যাদা দেওয়ার দাবি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।