মোঃ মাছুম আহমদ মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার জুড়ী নদীর কন্টিনালা অংশে রেল লাইনের ব্রীজ নির্মাণ কাজের জন্য নদীতে বাঁধ দেওয়ায় পাহাড়ী ঢলে নদী পাড়ের ঘরবাড়ি ও রাস্তা ভাঙনের মুখে পরেছে। পাহাড়ি ঢলে নদীর পাড়ের ৪ থেকে ৫ টি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে বৃষ্টি বাড়তে থাকলে গ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ ঘর ও মানুষ চলাচলের একমাত্র রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে।
জানা যায়, উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের জুড়ী নদীর কন্টিনালা অংশে রেল ব্রিজের কাজ চলছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। বর্তমানে রেল লাইনের ব্রীজ নির্মাণ কাজের জন্য নদীর পশ্চিম অংশে বাঁধ দেওয়ায় পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে পাহাড়ী ঢলে নদীর পুর্ব পাড়ের ঘরবাড়ি ও রাস্তা ভাঙনের মুখে পরেছে। ইতিমধ্যে পাহাড়ি ঢলে নদী পাড়ের ৪ থেকে ৫ টি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে বৃষ্টি বাড়তে থাকলে গ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ বেশকিছু ঘরবাড়ী ও মানুষ চলাচলের একমাত্র রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত গতিতে ঘরবাড়ি ও রাস্তা রক্ষায় সরকারি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
সরজমিনে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ীর লোকজন সকাল থেকে ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় পিডিবির কর্মকর্তারা ঝুঁকিতে থাকা একটি খুঁটি সরিয়ে নিতে কাজ করতেও দেখা যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা বলেন,তিনি ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত দুইটি পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন এবং সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনিসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় নদীর পশ্চিম তীরের বাঁধ কেটে দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে দুই বান ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে স্থায়ী কাজ করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা রক্ষা করার পরিকল্পনা নেয়া হবে।