বিশেষ প্রতিনিধিঃ জেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে গিয়ে ভোট না দেয়ার অভিযোগ এনে জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল খালেককে মারপিট করে ৫লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা যায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদ প্রার্থী আতাউর রহমান সাজু নির্বাচনের পরাজিত হওয়ার পর থেকে এলাকার ইউপি সদস্য,সদস্যা ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অভিযোগ করে আসছেন। আজ সোমবার দুপুরে জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুল খালেকের সাথে জেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত সদস্য পদপ্রার্থী আতাউর রহমান সাজুর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন থেকে আতাউর রহমান সাজু সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। নির্বাচনের পর থেকে জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য,সদস্যা ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মিথ্যা অভিযোগ করে প্রচার করছেন।এর আগে ও এক মহিলা সদস্যা ও একজন ইউপি সদস্য কে লাঞ্চিত করেছেন।আজ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আমাকে মারধর করে আমার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে আতাউর রহমান সাজু ও তার ভাইয়েরা।এ সময় আতাউর রহমান সাজু আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন আমার লাইসেন্স করা পিস্তল আছে,বেশি বাড়াবাড়ি করলে গুলি করে মাথার খুলি উরিয়ে দিবো।চিকিৎসাধীন ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক আরো বলেন,আমি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বসে ছিলাম এসময় জেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আতাউর রহমান সাজু ও তার দুই ভাই জাহিদুল ইসলাম এবং আবু হোসেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেইনি বলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমার শার্টের কলার ধরে বাইরে বের করে লাঠি দিয়ে বেধরক পিটিয়ে আহত করে। এ সময় জমি রেজিষ্ট্রি করার জন্য আমার কাছে রক্ষিত ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে তাদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল। জোড়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এসময় আমি ইউনিয়ন পরিষদে ছিলাম না। আমি উপজেলা পরিষদে মিটিংয়ে ছিলাম। ফোনে জানতে পেরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে দেখতে যাই। ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল জলিল ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার গোলাপি বেগম ও হ্যাপি জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে গিয়ে আতাউর রহমান সাজু আমাদেরকেও গালমন্দ ও বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।