এসএম রুবেল
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝড়ে পড়া বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিএমডিএ’র গাছ কাটা নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে,নিয়ম অনুযায়ী ঝড়ে পড়া গাছ বিক্রির ক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে প্রকাশ্য নিলাম করার কথা থাকলেও বিএমডিএ অফিসেই সেখানকার এক কর্মকর্তার যোগসাজশে গাছগুলো বিক্রি করা হয়। এছাড়াও তিনটি গাছ কিনে নিলেও ৭-১০টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা,প্রতক্ষ্যদর্শী, জনপ্রতিনিধি,ক্রেতা ও বিএমডিএ সূত্রে জানা যায়,গত বুধবার (১৭ মে) দিবাগত রাত ২টার পর জেলাজুড়ে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়। এতে বিভিন্ন এলাকার গাছপালা ঝড়ে পড়ে যায়। এতে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া এলাকার তিনটি গাছের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলো বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিএমডিএ’র।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝড়ের পরদিন বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ও শুক্রবার (১৯ মে) তিনটি গাছ নিলামে নেয়ার নামে ৭টি গাছ কাটা হয়। তিনটি গাছ ৬ হাজার টাকায় নামমাত্র মূল্যে ইজারা নেয়ার নামে ৭-১০টি গাছ কেটেছেন, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের দিননাথপুর গ্রামের মো.ফাইজুদ্দিন। তার কাছে গাছ কাটার কোন অনুমোদন বা নথি রয়েছে কি না জানতে চাইলে বিএমডিএ’র একটি কাগজ দেখান। সেই কাগজে কোন স্মারক,তারিখ বা কর্মকর্তার সাক্ষর।
স্থানীয় বাসিন্দা ফয়সাল আজম অপু বলেন,রাস্তার ধারে থাকা তিনটি গাছ ঝড়ে পড়ে যায়। পরদিন কয়েকজন লোক এসে ৭-১০টি গাছ কেটে নিয়ে যায়। তারা বলছে,বিএমডিএ অফিস থেকে নাকি ইাজারা নিয়েছে।
ইউপি সদস্য লোকমান আলী জানান,স্পটে গাছগুলো প্রকাশ্য নিলাম করার কথা থাকলেও তা অফিসে বসেই করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে অনিয়ম ও বেআইনি।
গাছ ক্রেতা মো.ফাইজুদ্দিন বলেন, আমি গাছগুলো বিএমডিএ’র কর্মকর্তা মুসাইদ মাসরুরের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে। একটি কাগজও দিয়েছে। তাই এর কারনেই গাছগুলো কেটেছি।
বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী মো. মুসাইদ মাসরুর বলেন,সঠিক নিয়ম মেনেই গাছগুলো নিলাম করে বিক্রি করা হয়েছে। ক্রেতার কাছে থাকা নথিতে স্মারক,তারিখ বা কর্মকর্তার সাক্ষর না থাকা প্রসঙ্গে তিনি জানান, অফিসে থাকা চূড়ান্ত নথিপত্রে তা যথাযথভাবে উল্লেখ রয়েছে। এবিষয়ে সঠিক তথ্য জানা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন,অফিসের বাইরে রয়েছি। অফিসে গিয়ে আরও নিশ্চিত হয়ে সকল তথ্য দিতে পারব।
এবিষয়ে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিএমডিএ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে বিস্তারিত জানা নেই। সহকারী প্রকৌশলী মো.মুসাইদ মাসরুর সরেজমিনে গিয়েছিল। তিনিই সঠিক বলতে পারবেন। তবে কোন অনিয়ম হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।