বিশেষ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে জ্বরের প্রাদুর্ভাব। জ্বরে আক্রান্তদের ভীড়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। গত দেড় মাসে অর্ধশতাধিক ডেঙ্গু জ্বরের রোগী সনাক্ত হয়েছে। হাসপাতালের পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক গুলোতে। যারা দিনের পর দিন টেস্টের রোগীদের অপেক্ষায় বসে থাকেন বর্তমানে এতটুকু ফুসরত নেই তাদেরও।এই জ্বরের সাথে শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হয়। পাশাপাশি হালকা কাশি এবং শরীর ঘেমে যাওয়া আবার ঠান্ডা লাগা। প্রতিদিন শত শত জ্বরের রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বেশির ভাগ রোগীর দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন টেস্ট। এরমধ্যে cbc, widal, urinari, ns-1 এবং iggam । ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অনেকে ঢাকা থেকে ডোমারে এসেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ৬টি শয্যা রয়েছে। এর মধ্যে ৫জন ডেঙ্গু জ্বরের রোগী ভর্তি রয়েছেন। অনেকের অবস্থার অবনতি হলে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হচ্ছে। অনেকে আবার নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লিনিকে বেড়েছে জ্বরের রোগীর সংখ্যা। সেখানেও টেস্ট ছাড়া মিলছেনা চিকিৎসা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনিশিয়ান মমিনুল ইসলাম জানান, আগে প্রতিদিন ১০থেকে ১৫ জনের পরীক্ষা করা হতো। বর্তমানে প্রতিদিন ৭০থেকে ৮০জনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগষ্ট মাসে এ যাবত ১১জনের শরীরে ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়েছে। জুলাই থেকে এ যাবত ৪৬জনের শরীরে ডেঙ্গু জ্বর সনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন ১৫জন করে রোগীর ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে। অফিস সময় বাদেও কাজ করতে হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারী বলেন, যেহেতু এদিকে ডেঙ্গু জ্বর এসে গেছে, জনসাধারনের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাই বাসা বাড়ি পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে হবে। রাতের বেলা মশারী অথবা মশার কয়েল ব্যবহার করতে হবে। রোদে শীতে বাইরে না গিয়ে ঘরে অবস্থান করতে হবে। শিশুদের সাবধানে রাখতে হবে।