বিশেষ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে বাপ দাদার বসত ভিটার ৪ শতাংশ জমি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন একটি অসহায় ভূমিহীন পরিবার। সরেজমিনে গেলে ডোমার পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের বাসিন্দা মমতাজ আলীর ছেলে ওমর ফারুক জানান, ৮৫৪১ নং দাগের ৩১শতাংশ জমি সিএস খতিয়ান আমার দাদার বাবা হাজারী মামুদ এবং এসএ রেকর্ড আমার দাদা আফের উদ্দিন ও ওমর আলীর নামে রয়েছে। সংসারের অভাব অনটনের কারনে ওই দাগের ১১শতাংশ জমি জমির উদ্দিনের কাছে, ৮ শতাংশ জমি আব্দুর রহিমের কাছে এবং ৮শতাংশ জমি তছলিম উদ্দিনের কাছে আমার বাবা ও ফুপু বিক্রি করেন। অবশিষ্ট ৪শতাংশ জমিনের উপর আমাদের বসত বাড়ি রয়েছে। সে সূত্রে বর্তমান বিএস রেকর্ড আমার বাবার নামে প্রচারিত হয়। এই বসত বাড়িতে বাপ দাদাসহ প্রায় ১০০ধরে বসবাস করে আসিতেছি। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক তছলিম উদ্দিন আমার বসত বাড়ির কিছু অংশ জোরপূর্বক দখল করে নেন এবং আমার বাস্তুভিটা বেদখল করার হুমকি দেন। আমি এ ব্যাপারে নীলফামারী আদালতে ১৪৮/১৬ নং একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি। তারা মামলার জবাবে গত ১২/১১/১৯৯৫ ইং তারিখের ৫৮৮৩নং দলিলে আমার বাবা মমতাজ আলী ও ফুফুর জাল সাক্ষর দিয়ে সাহানারা বেগমকে গ্রহিতা সাজিয়ে একটি ভূয়া দলিল দাখিল করেন। মামলার আদেশে তছলিম উদ্দিন তার স্ত্রী সাহানারা বেগম এবং শশুর আব্দুল খালেককে নালিশি বিত্তে প্রবেশে বারিত করেন আদালত। পরবর্তীতে দলিলটি চ্যালেঞ্জ করে মমতাজ আলী ডোমার সহকারী জজ আদালতে অন্য-২৩/১৭ নং মামলায় ১২/১১/১৯৯৫ ইং তারিখের ৫৮৮৩নং দলিলটি রদ-রহিতের মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ওই মামলায় আদালত দলিলটি রদ-রহিতের আদেশ দেন। ওমর ফারুক আরো জানান, মামলায় হেরে গিয়ে প্রতিপক্ষের তছলিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী সাহানারা বেগম বর্তমানে আমার বাবা প্রতিবন্ধী মমতাজ আলীকে আসামি করে ডোমার থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি প্রাথমিক তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় থানা থেকেও তাদের তাড়িয়ে দেন। বর্তমানে আমার বসতভিটায় রক্ষিত আমার অংশে এবং তাদের অংশে কিছু বাঁশ রয়েছে। বাঁশগুলো আমার ঘরের উপর হেলে পড়ে ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সামান্য ঝড় বাতাসে ঘরের টিনগুলো নষ্ট হচ্ছে। আমি আমার অংশের বাঁশ কাটতে গেলে তারা বাধা দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করছেন। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনারুল ইসলাম তাদের আত্মীয় হওয়ায় তারা তাদের অংশের এবং আমার অংশের হেলে পড়া বাঁশ কাউন্সিলর কাটতে দিচ্ছেন না। আমি একজন গরীব মানুষ সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার বসতভিটার জমিটুকু থেকে আমাকে উচ্ছেদ করতে কাউন্সিলরসহ প্রতিপক্ষ বিভিন্ন পায়তারা করছে। তারা একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি করছেন। মামলার খরচ চালানোর মতো সামর্থ্য আমার নেই। বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীনদের জমি ও ঘর নির্মাণ করে দিয়ে পুনর্বাসন করলেও প্রতিপক্ষ এবং কাউন্সিলর আনারুল ইসলাম ভুয়া দলিলের মাধ্যমে আমাকে উচ্ছেদ করে ভূমিহীন বানাতে উঠে পরে লেগেছে। তাই আমি আমার বাপ দাদার ভিটেমাটি ৪শতাংশ জমি রক্ষার্থে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ ব্যাপারে ডোমার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনারুল ইসলাম জানান, দলিলের বিষয়ে আদালতে মামলা থাকায় সেখানকার বাঁশ কাটা যাবে না।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।