বিশেষ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে এক ইউপি সদস্যের ভাই এবং ভাতিজাদের অত্যাচার এবং হুমকিতে একটি পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে মামলাও করেছেন বাদী। ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাজিপাড়া গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে অধিকাংশই ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের ভাই হাফিজুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, আব্দুল কাদের, গোলাপ হোসেন এবং ভাতিজা স্বাধীন, সেলিম, কবির, লতিফ ও লিপুদের বসবাস। এরই মাঝে বসবাস মকবুল হোসেন নামের এক ব্যাক্তির। জোরপূর্বক জমি দখল, পানির পাম্প বন্ধ করে দেয়া, জমিনের সীমানা এগিয়ে দেয়াসহ প্রায়ই মকবুল হোসেনের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকে। সর্বশেষ গত ১জুলাই মকবুল হোসেনের একটি বাঁশঝাড় থেকে জোরপূর্বক শতাধিক বাঁশ কেটে নিয়ে যায় পরে বাঁশের মুড়া উপরে ফেলে মেম্বার আব্দুল হামিদের বড়ভাই হাফিজুল ও তার চার ছেলের বাড়ি চলাচলের রাস্তা বের করেন। এ ঘটনায় মকবুল ও তার দুই ছেলে প্রতিবাদ করলে তাদের মারডাং করে গুরুতর আহত করেন। এ ঘটনায় বিজ্ঞ আমলী আদালতে পিটিশন মামলা নং- ৭৮/২৩ দায়ের করেন মকবুল হোসেন। আদালতের নির্দেশে ডোমার থানায় মামলা নং ১৭ নথীভূক্ত হয়। মামলার ৯জন বিবাদীর মধ্যে ৭জন বিবাদী জামিনে এসে বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। সরজমিনে গেলে মকবুল হোসেন ও তার পরিবার জানান, বিবাদীদের হুমকিতে আমরা এখন চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছি। তাদের ভয়ে কোন আত্মীয় স্বজন আমাদের বাড়িতে আসতে পারে না। কেউ আসলেই তারা রাস্তায় আটক করে মারধর করে। এমনকি আমার মেয়ে জামাই আমার বাড়িতে আসতে পারছে না। তাদের ভয়ে আমরা হাট বাজারে যেতে পারি না, নিজের জমিতে কাজ করতে পারিনা। যখন তখন এসে হুমকি দেন। কার জমিতে ধান লাগাও ধান কেটে নিয়ে যাবো। তারা মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেন। বিভিন্ন প্রকার উস্কানীমূলক কথা বলেন। তারা সংখ্যায় বেশি তাই এলাকার লোকজন ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না। চেয়ারম্যান সাহেবকে বার বার বলেছি। তাদের ভোটসংখ্যা বেশি হওয়ার তিনি বিবাদীদের পক্ষে কথা বলছেন। বিবাদীরা আমার জমিনের বাঁশ কেটে নিয়ে গেলেও চেয়ারম্যান সাহেব আদালতে মিথ্যা প্রত্যয়ন প্রদান করে তাদের জামিন নিয়েছেন। আমি আদালতের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ১০৭ ধারায় মামলা করেছি। এ ব্যাপারে কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল হামিদ জানান, আমার ভাই ভাতিজা এবং মকবুলের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। কেতকীবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম রোমান জানান, বর্তমানে মেম্বার সাহেবরা বেশি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। কারন প্রতিদিন তাদের বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছেন। আমি দুজন স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে জমির সীমানা নির্ধারণ করে দেই। সে সময় আমার সাথে তারা অসদাচরণ করে। তাই আমি আর সেখানে যাবো না। দোষ উভয় পক্ষের রয়েছে। আদালতে মামলা হয়েছে। বিষয়টি আদালত দেখবে।