Tuesday, September 16, 2025
spot_img

নোটিসঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি পার্সোনাল একাউন্ট থেকে নিউজ পাবলিশ করে থাকে, যে-কোনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।

Homeবিশেষ সংবাদনওগাঁর পত্নীতলায় প্রতিবন্ধীদের সরকারি ঘর দিতে চেয়ে মোটা অংকের টাকা আদায়

নওগাঁর পত্নীতলায় প্রতিবন্ধীদের সরকারি ঘর দিতে চেয়ে মোটা অংকের টাকা আদায়

 সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

প্রতিবন্ধীদের সরকারি ফ্লাট বাসা, এককালীন অর্থ অনুদান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরী ও টাই- সাইকেল দিতে চেয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর মো: কাজল হোসেন নামক এক যুবকের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে প্রতিবন্ধী ভূক্তভোগীরা পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, নওগাঁর পত্নীতলার আকবরপুর ইউনিয়নের কানুড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের চাঁন মোহাম্মদ এর ছেলে মো: কাজল হোসেন  প্রতিবন্ধী ও আদাবাসীদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে কাউকে সরকারি বরাদ্দকৃত ফ্লাট বাসা, কাউকে সরকারি এককালীন মোটা অংকের অর্থ অনুদান, কাউকে প্রাইমারী স্কুলে চাকরী আবার কাউকে টাই- সাইকেল দিতে চেয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।
এবিষয়ে এক পা হারানো ভূক্তভোগী উপজেলার সুরহট্টি গ্রামের মো: সাইদুর রহমান বলেন, হঠাৎ কাজল নামের একজন ছেলে আমাকে বলে, আপনার এক পা নেই যার কারণে আপনার চলাফেরায় সমস্যা হয়। আপনি চাইলে ডিসি অফিস থেকে আপনাকে একটি টাই- সাইকেল নিয়ে দিবো। যার মূল্য ৪৫-৫০ হাজার টাকা। এই বাবদে আপনাকে ১৫ হাজার টাকা খরচা দিতে হবে। আমি ভাবলাম কাজল এর ছোট ভাই মো: জুয়েল রানা যেহেতু ডিসি অফিসে চাকরী করে সেহেতু সে পারবে বলে আমি সরল বিশ্বাসে তাকে ১৫ হাজার টাকা দেই। এখন আমাকে টাই- সাইকেলও দেয়না আবার টাকাও ফেরত দেয়না।  জামালপুর গ্রামের মিনতি সারদী, মধুইল গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী মোছা: রেনু বলেন, সরকারি ফ্লাট বাসা করে দিতে চেয়ে আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার করে টাকা নিয়েছে ও দিবর ইউনিয়নের খান্দউ গ্রামের শ্রবন প্রতিবন্ধী মোছা: রোজিনা খাতুন বলেন, সরকারি বাসা করে দিতে চেয়ে আমার কাছ থেকেও ২০ হাজার টাকা নিয়েছে কাজল।
অপর ভূক্তভোগী উপজেলার জামালপুর গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী মোছা: সাহার বানু বলেন, আমার ছেলে কে প্রাইমারী স্কুলে চাকরী দিতে চেয়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি আমার বাড়ির গরু ছাগল যা ছিলো সব কিছু বিক্রি করে তাকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু সে আমার ছেলে কে চাকরী দেওয়া তো দূরের কথা টাকাও ফেরত দেয়না। যদি টাকা ফেরত চাই তাহলে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
অভিযুক্ত কাজল হোসেন বলেন, ভাই আমি তাদের কাছ থেকে কেন টাকা নিবো। তাছাড়া আমি কোন দল পর্যন্ত করিনা। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ঘরযন্ত্র করছে।
এবিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: পপি খাতুন বলেন, আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সুমন কুমার ঘোষ
সুমন কুমার ঘোষ
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি। মোবাইলঃ ০১৩০৩-৩৬২১৩৫
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments