সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর বদলগাছীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের দুটি কক্ষে ফ্যান চালিয়ে ধান শুকানো অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তার ভাই একাব্বর রহমানের বিরুদ্ধে। গত ২০শে মে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মিঠাপুর ইউপির খোকশাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের দুটি কক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের কক্ষে ধান শুকানোর এই চিত্র। সম্প্রতি খোকশাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরির পর পুরাতন ভবন বেশ কয়েক মাস ধরে বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা নিজেদের ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার করছে বিদ্যালয়ের কক্ষগুলো। ঐ ভবনের শ্রেণিকক্ষের চেয়ার-টেবিল সরিয়ে ফ্যান চালু করে ধান শুকানো হচ্ছে। প্রথমে দেখে যে কারও মনে হবে এ যেন স্কুলের কক্ষ নয়-এটি একটি চাতাল। কিন্তু বাস্তবে এটি কোন চাতাল নয় বরং এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুরানো ভবনের কক্ষের দৃশ্য৷
স্থানীয় সুমন,ইউসুফ সহ একাধিক ব্যাক্তি জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেলের কাছ থেকে চাবি নিয়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের কক্ষে তার ভাই রহিমপুর স্কুলের শিক্ষক একাব্বর রহমান সহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ধান শুকাচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিজেও বিদ্যালয়ের এই কক্ষগুলোতে ধান শুকানো সহ তার ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। কয়েকদিন থেকে এ কাজ করছেন তিনি।
এছাড়াও স্থানীয়রা বিদ্যলয়ের নানা অনিয়মের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ অপচয় করে ফ্যান চালিয়ে ধান শুকানোর বিষয়টি কুবই দুঃখজনক। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে এই পুরাতন ভবনের কক্ষে ফ্যান চালিয়ে সরকারি অর্থের অপচয় করছেন এই শিক্ষক । এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত একাব্বর ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও ধান শুকানোর বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। একাব্বর হোসেন পার্শ্ববর্তী এলাকার রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। খোকশাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হোসেন এর সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ধান শুকানোর জন্য আমার স্ত্রীর কাছ থেকে একজন চাবি নিয়ে গিয়ে এই কাজ করেছে। আমি এই বিষয়টি জানার পর স্ত্রীকে একটু বকাঝকাও করেছি। ফ্যান চালিয়ে ধান শুকানোর বিষয়ে জানতে চাইলে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি ।
ঘটনার বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।