সুমন কুমার ঘোষ বুলেট নওগাঁ জেলাঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে অবৈধ দখলদারদের সরাতে না পাড়ায় সরকারি সুপার মার্কেট নির্মাণ কাজ গত ৫ মাসেও শুরু করতে পারেনি ঠিকাদার। সরকার ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক হিসেবে উপজেলা শহরের সার পট্টি এলাকার একক্ষন্ড খাস জমিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৪ তলা বিশিষ্ট সুপার মার্কেট নির্মাণের উদ্দ্যোগ নেয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় দোতলা পর্যন্ত ওই মার্কেট নির্মাণে ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। নওগাঁর ইথেন এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের মাধ্যমে এ সুপার মার্কেট নির্মাণের কাজটি হাতিয়ে নেয়।
জানা গেছে, ওইস্থানের খাস জমি অবৈধ ভাবে দখল নিয়ে কিছু দিন ধরে কতিপয় ব্যবসায়ী পেঁয়াজের ব্যবসা করে আসছেন। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের দখল নেয়া ওই স্থানের সরকারি খাস জমিতে এ সুপার মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরুর তারিখ গত ২ জুন শেষ হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা প্রসাশন ওই মার্কেট নির্মাণের সরকারি খাস জায়গা দখল করে নেয়া পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের মৌখিক ভাবে তাদের মালামল দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়। ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের ওই মৌখিক নির্দেশ অমান্য করে তাদের ব্যবসা অব্যহত রাখে সেখানে। গত ১৫ নবেম্বর সোমবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান সরকারি জায়গায় অবৈধ ভাবে দখল করে নেয়া পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সেখান থেকে উচ্ছেদে অভিযান চালান। এ সময় স্থানীয় একটি মহলের প্রত্যক্ষ মদদে ব্যবসায়ীরা তাদের উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে প্রশাসন তাদের ওই অভিযান বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান বলেন সরকারি খাস জমি অবৈধ ভাবে দখলকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের একটা সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা সরকারি খাস জায়গা ছেড়ে না দিলে এবং ওই মার্কেট নির্মাণে বাধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে পেঁয়াজ এবং ফুট পাতের খুচরা নতুন ও পুরাতন জামা-কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মাণকৃত মার্কেটের রুমে তাদের ব্যবসা করার নিশ্চয়তা পেলে তারা তাদের মালামাল স্বেচ্ছায় অন্যত্র সরিয়ে নিবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সৈকত কুমার দাস বলেন, এ সুপার মার্কেটটির কাজ শুরুর কথা ছিল গত ২ জুন এবং শেষ করার তারিখ ছিল আগামী ১ জুন ২০২৩। তবে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকা সরকারি খাস সম্পত্তি দখলমুক্ত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সময়মত নির্মান কাজ শুরু করতে পারেনি বলে ওই প্রকৌশলী জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।