নাচোলে খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত অবৈধ কাজ নিউজ করে বন্ধ করে দেওয়ায় সাংবাদিকের নামে মিথ্যা অভিযোগ।
আসাদুজ্জামান মুকুল নাচোল প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ১নং কসবা ইউনিয়নের কৌচড়া মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত পুরাতন গোলাবাড়ি গ্রামের সরকারি খাস পুকুর ভরাট করে সিসি পিলার দিয়ে পাকা বাড়ি তৈরি করছে।এসতাব হাজি ওরফে( প্লাস্টিক হাজি) ও তার ছেলে বাবু স্থানীয় ও এলাকাবাসীরা জানায় তাদের দলিলি ৬ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে এবং তাড়া দাবি করেন অবিলম্বে ভূমিদস্যুদের উচ্ছেদ করে। ভূমিহীনদের যেন এখানে বসবাস করার জন্য আশ্রয়স্থল গড়ে তোলা হয়।এমন খবর শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থল পুরাতন গোলাবাড়িতে তিন সাংবাদিক সরজমিনে দেখার জন্য যায় এবং স্থানীদের সাথে কথা বলে জানতে পারে আসলে ১নং কসবা ইউনিয়নের কৌচড়া মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত যায়গা। এই বিষয়ে ভূমিদস্যু মিথ্যা অভিযোগকারি মশিউর রহমান বাবুর সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন আমাকে মৌখিকভাবে ভূমি অফিস থেকে পাকা বাড়ি করতে বলা হয়েছে। এমন কথা শোনার পর সাংবাদিক গন বলেন সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় আপনাকে কেউ পাকা বাড়ি করার অনুমতি দিবে না। এমন প্রশ্নের জবাবে হোসেন রহমান বাবু ইতসিত খেয়ে বলেন না ঠিক আছে।তারপরে সাংবাদিকগন তার বাড়ির ছবি এবং ভিডিও নিয়ে আসেন। এবং গত(১৭ জুলাই) বিষয়টি উপজেলা ভূমি অফিস কে অবহিত করলে তিনি নায়েব কে পাঠিয়ে তার বাড়ির কাজ বন্ধ করতে বলেন। কাজ বন্ধ করার পর মশিউর রহমান বাবু রাগের বশভূত হয়ে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাদির অভিযোগ করেন জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে। যেখানে (১) নং অভিযুক্ত নাচোল মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার নাচোল প্রতিনিধি তোসিকুল ইসলাম যিনি ঘটনাস্থলেই যায়নি। (০২)আবুল হোসেন নাচোল মডেল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক গণমুক্তি (০৩) গোমস্তাপুর মডেল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক লোকালয় জেলা প্রতিনিধি সামিরুল ইসলাম(০৪) আব্দুল বার্রি দৈনিক মাতৃ জগত স্টফ রির্পোটার।
এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন সাংবাদিকরা আমাদের জানানোর পরে অবৈধ কাজটি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আগামী এক সপ্তাহের ভিতর বাড়ি মশিউর রহমান বাবু নিজে ভেঙে নিবে। আপনি কাজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়েছে।এমন প্রশ্নের জনান এইটা অন্যায় করা হয়েছে। এবং তিনি জানান সাংবাদিকদের মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় যদি আমাকে প্রয়োজন হয় তাহলে আমি সর্বোচ্চ সাহায্য করবো।
২৬ জুলাই জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় এই চারজনের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেন। সেখান থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রহনপুর নাচোল থানা পুলিশকে , তদন্তের জন্য আদেশ দেন।
এই বিষয়ে নাচোল থানার (ভারপ্রাপ্ত) ওসি জানান তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।