মামুন উর রশিদ রাসেল বিশেষ প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে শুরু হয়েছে শৈত্য প্রবাহ। হার কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অভাবী মানুষের দুর্দশা চরমে উঠেছে। শুক্রবার ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল আকাশ। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা আড়াইটার দিকেও হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তাপমাত্রা কমে আসায় শীতে নাকাল উত্তর জনপদের মানুষজন। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার কারনে প্রচন্ড ঠান্ডায় মানুষ জন, পশু পাখি জুবুথুবু হয়ে পড়েছেন। দুপুরের পর থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া বাড়তে থাকে ফলে বিকেল হওয়ার সাথে সাথে রাস্তা ঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। এ অঞ্চল হিমালয়ের কাছাকাছি থাকায় শীতের মাত্রা এমনিতেই একটু বেশি। হাড়কাঁপানো শীত পড়ায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। পেটের তাগিদে কাউকে কাউকে ক্ষেত খামারে আবার কাউকে দিনমজুরের কাজ করতে দেখা গেছে। ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।শীত নিবারণে বিত্ববানরা শহরে গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে ভীড় জমায়। অভাবী খেটে খাওয়া হতদরিদ্ররা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এ যাবত উপজেলা প্রশাসন থেকে ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৫হাজার ৩৯০টি কম্বল ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। চিকিৎসকরা বলছেন এ সময়টাতে শীতের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।