নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে ইংরেজি নতুন বছরের শুরুর দিন থেকেই জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।সোমবার ও মঙ্গলবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি। ঘন কুয়াশা ও মেঘে ঢেকে রয়েছে আকাশ। হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষজন। ক্ষেত খামারে, মাঠে ঘাটে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। প্রয়োজনের তাগিদে বের হওয়া মানুষ জনদের সারাদিন গরম কাপড় গায়ে পরে ঘুরতে দেখা গেছে। শহরের লন্ডা বাজার নামে পরিচিত গরম কাপড়ের দোকানে স্বল্প আয়ের মানুষের ভীড় বেড়েছে। অভাবী লোকজন গরম কাপড়ের অভাবে বাড়িতে আগুন তাপিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। দিনে এবং রাতে হিমেল বাতাসে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। আবহাওয়ার এ অবস্থা বর্তমানে গোটা উত্তরাঞ্চল জুড়ে বিরাজ করছে।ডোমার ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার ছোটরাউতা আদর্শপাড়ার বাসিন্দা দিনমজুর সমারু হাজেরা জানান, আমি মাঠে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্ট। বাহিরে ঠান্ডা বাতাসে পুরা শরীরে কাপুনি শুরু হয়। কনকনে ঠান্ডার কারনে দুদিন ধরে কাজে যেতে পারি নাই।ডোমার পৌরসভার ডাঙ্গাপাড়ার ভ্যআনচআলক সিদ্দিক বলেন, ঠান্ডায় মানুষ বাহিরে বের হতে পারছেনা ভাড়া নেই বললেই চলে। এ ছাড়াও ইরি-বোরো বীজ তলা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় কৃষকরা।ডোমার খাটুরিয়া জুম্মাপাড়ার মানিক ইসলাম বলেন,যে হারে শীত শুরু হয়েছে এতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কনকনে ঠান্ডার কারনে শিশুদের মাঝে ডায়রিয়া ও বয়স্কদের মাঝে শ্বাসকষ্ট রোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারী জানান, গত দুদিন ধরে হাসপাতালে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়টাতে শিশু এবং বৃদ্ধদের ঘরের বাইরে বের না হওয়াই ভালো। তবে বিশেষ প্রয়োজনে বের হতে হলে মুখে অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করতে হবে। সবাইকে অবশ্যই গরম কাপড় পরে চলাচল করতে