সুমন কুমার বুলেট নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে পল্লী বিদ্যুতের অসৎ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে অবৈধভাবে অগভীর নলকূপ বসানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় দালাল ও পল্লী বিদ্যুতের অসৎ কর্মকর্তাদের মদদে এমনি ঘটনা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে চলমান রয়েছে। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের তাঁতারপুর গ্রামে দেখা যায়, আনুমানিক ৫০০ শত গজের মধ্যে একটা গভীর নলকূপের পাশে তিনটি অগভীর নলকূপ স্হাপন করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে গভীর নলকূপের ১৬৪০ ফিট ও অগভীর নলকূপের ৮২০ ফিটের মধ্যে সেচের জন্য কোন নলকূপ স্হাপন করা যাবে না। এই নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে দালাল ও অসাধু কর্মকর্তাদের মদদে ৫০০ ফিটের মধ্যে গভীর নলকূপের পাশে অগভীর নলকূপ স্থাপন করে বিবাদের ঝান্ডা চলছে। সূত্রমতে জানাগেছে,উক্ত স্থানে দু’বছর আগে একজন খুন হয়েছে। এবিষয়ে মহাদেবপুর উপজেলা বরেন্দ্র ইজ্ঞিনিয়ার মো.ইমদাদুল হক জানান, গত জানুয়ারি ২০২৪ পল্লীবিদ্যুত অফিসকে চিঠি দিয়ে জানান এবং পল্লীবিদ্যুৎ অফিস অগভীর নলকূপের বিদ্যুত বিছিন্ন করে দেয়। কিন্তু তার ৪ দিন পরে আবারো অদৃশ্য শক্তির বলে অগভীর নলকূপে সংযোগ স্থাপন করে। এ ব্যাপারে ইউএনও মো.কামরুল হাসান সোহাগ কে বিষয়গুলো জানালে তিনি বলেন,আমি এবিষয়ে কিছু জানিনা বা আমার কাছে কোন অভিযোগও আসেনি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি বিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ জানান, বিষয় শুনেছি। আগামী সেচ কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করবো। এ ব্যাপারে উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো.রবিউল আলম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সময় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০,২০ মিঃ তার অফিসে টিভির ক্যামেরার সামনে কথা বলতেও তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। মুঠোফোনে নওগাঁ, পত্নীতলা পল্লিবিদ্যুত-২ জিএম শাহ্ মো.রাজ্জাকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন উর্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া সাক্ষৎকার দেওয়া নিষেধ। উক্ত বিষয়গুলো অবহিত করলে তদন্ত করে তাদের তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।