ইমরান আহমেদ মিঠু: পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ইমতিয়াজ হাসান বুলবুলের মৃত্যু দাবী নিহত পরিবারের ।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বুলবুলকে গত ২৪শে নভেম্বর আটক করে নিয়ে যায় ওয়ারী থানা পুলিশ। এরপর তাকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরবর্তীতে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।থানায় অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এসময় পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে গেলে তাদের দেখতে দেওয়া হয়নি।
পরবর্তীতে বুলবুলের খোঁজে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে একাধিকবার গেলেও তার হদিস পাননি তার পরিবার। গত ২০ তারিখে পরিবার নিশ্চিত হয় বুলবুল কাশিমপুর কারাগারে আছেন। এরপর সেখানে গিয়েও বুলবুলের সাথে দেখা করতে পারেনি তার পরিবারের সদস্যরা। কারাগারে থাকা অবস্থায় হঠাৎ হার্টের সমস্যা দেখা দিলে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গত ২৬শে নভেম্বর ভর্তি করান। পুরো বিষয়টি পরিবারের কাছে গোপন রাখে পুলিশ।
৩০শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে জানানো হয়।বৃহস্পতিবার ভোর তিনটা ২০ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বুলবুলকে মৃত্যু ঘোষণা করার পর থেকেই লাশ পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে রাত ৯টায় চুপিসারে দাফন কাজ সম্পন্ন করে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পরিবারের দাবি, মৃত বুলবুলের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে। এবিষয়ে ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। এই নামে কোনো বিএনপি নেতাকে আমরা আটক কিংবা গ্রেপ্তার করিনি।