জনপ্রিয়তার শীর্ষে প্রবীণ সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম: দৈনিক ইত্তেফাক" সত্যের পথে অটুট নক্ষত্রের পরিচয় নিয়ে।
রাজশাহী অঞ্চলের সাংবাদিকতার ইতিহাসে শফিকুল ইসলাম একটি উজ্জ্বল নাম। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত থেকে সততা, ন্যায়পরায়ণতা এবং সত্যের পক্ষে নিজের অঙ্গীকার বজায় রেখেছেন। এই প্রবীণ সাংবাদিক শুধু সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রেই নয়, সাংবাদিকতার নৈতিকতার ক্ষেত্রেও এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
১৯৯৭ সালে কলম যোদ্ধা হিসেবে শুরু করেন প্রথম যাত্রা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামের দিদার আলী মন্ডল এর ছেলে শফিকুল ইসলাম। তিনি শৈশব কাল থেকেই যেন তার নেশা হিসেবে প্রত্যেকটি কলম যেন তার সঙ্গে হিসাবে আজও তার অনন্যর দিকনির্দেশনার পথে হাঁটছে নবীন সাংবাদিকতার অনুসরণ।
শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকতা শুরু করেন একটি মিশন নিয়ে—সত্য প্রকাশ করা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। তার সাংবাদিকতার প্রতিটি অধ্যায়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আপোষহীন থাকা যায়। সংবাদ পরিবেশনে পক্ষপাতহীন থাকা এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহ করাই তার প্রধান লক্ষ্য দেখা মিলেছে।
তিনি মনে করেন, সাংবাদিকতা শুধুমাত্র একটি পেশা নয়; এটি একটি দায়িত্ব, যেখানে প্রতিটি কলমের খোঁচায় সমাজ বদলে যেতে পারে। তার প্রকাশিত বহু প্রতিবেদন সমাজের অন্যায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করেছে। এ কারণেই সাধারণ মানুষের কাছে তিনি আজও প্রিয়।
বর্তমান সময়ে সাংবাদিকতার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো হলুদ সাংবাদিকতা। কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সাংবাদিকতার আদর্শের অপব্যবহার করছে। মিথ্যা তথ্য প্রচার, বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ এবং ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আক্রমণ করা—এসব হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজ ও সাংবাদিকতার মূলধারায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
শফিকুল ইসলাম বারবার এই অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সরব থেকেছেন। তিনি বলেছেন, “সাংবাদিকতা একটি শক্তিশালী মাধ্যম, কিন্তু এটি যদি ভুল পথে পরিচালিত হয়, তবে সমাজের ক্ষতি অনিবার্য। আমাদের দায়িত্ব সাংবাদিকতার মাধ্যমে সত্য প্রতিষ্ঠা করা, বিভ্রান্তি ছড়ানো নয়।”
হলুদ সাংবাদিকতার কারণে আজ মূলধারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। শফিকুল ইসলাম মনে করেন, এই অবস্থার মোকাবিলায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং তাদের নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে হবে। তিনি তরুণ প্রজন্মের সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকে।
সাংবাদিকতা জগতে শফিকুল ইসলামের অবদান এবং তার সততা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বড় প্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন, আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হয়েও সাংবাদিকতা করা সম্ভব। রাজশাহীর এই প্রথিতযশা সাংবাদিক সমাজের কল্যাণে আজীবন কাজ করে গেছেন এবং এখনো তার আদর্শে অনেক তরুণ সাংবাদিক অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।
সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের মতো ব্যক্তিত্ব আমাদের মনে করিয়ে দেন যে সত্য, সততা, এবং মানবিক মূল্যবোধই সাংবাদিকতার প্রকৃত পরিচয়। তার জীবন এবং কাজ আমাদের একটি বার্তা দেয়—“সত্যের জন্য লড়াই কখনো বৃথা যায় না। তথ্যচিত্রে সরজমিন প্রতিবেদক লেখক এসএম রুবেল।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।