প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে চাঁদাবাজি,অবৈধ বালু উত্তোলন মুলহতা ও ভূমিধস্য জাফরুলের রামরাজত্ব জিম্মি দিয়াড় অঞ্চলের মানুষ
এসএম রুবেল ক্রাইম রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা নদীতে দিনে ও রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে চলছে বালু-মাটি উত্তোলন। এমনকি অভিযোগ রয়েছে,এসব বালু-মাটি উত্তোলনে তোলা হয় প্রশাসনের নামের চাঁদা। প্রশাসনকে ম্যানেজ করার নামে প্রতিদিন নেয়া হয় ২৮ হাজার করে টাকা। এসব অবৈধ বালু-মাটি উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেছেন,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)। তবুও থেমে নেই পার হলে শুরু হয় পুনরায় মাটি খননের কাজ।
অভিযোগ রয়েছে,দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা নদী রক্ষা ০৬ নম্বর বাঁধ সংলগ্ন পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে দিনে ও রাতের অন্ধকারে ০৭ নম্বর বাঁধের পাশে পদ্মা নদীতে উত্তোলনে নেতৃত্ব দেন,মুল হোতা জাফরুল,এছাড়াও তার সহযোগীরা ইসরাফিল,বাবু মাস্টার এদিকে ০৮ নম্বর বাঁধ এলাকায় বালু-মাটি উত্তোলন সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন জাফরুল নামের ব্যক্তি দৈনিক ২৮ হাজার টাকা করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করার নামে টাকা উত্তোলন করে।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার ক্ষমতার কাছে জিম্মি ওই এলাকার মানুষ মুখ খুললে মাদক দিয়ে চালানের হুমকি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ০৬ নম্বর বাঁধে বালু-মাটি উত্তোলন চক্রের এক অংশীদার বলেন,কয়েকজন অংশীদার মিলে আমরা দিবে ও রাতের অন্ধকারে বালু-মাটি কাটছি। আমাদের এখানে অন্যতম একজন ভাগিদার হলো জাফরুল। এমপি,ডিসি,ইউএনও এসি ল্যান্ডের নাম করে সে প্রতিদিন এখান থেকে ২৮ হাজার করে টাকা নেয়। তাই প্রশাসনও কোন অভিযান করে না,দাবি ভূমিধস্যদের।
এদিকে,প্রশাসনের নামে চাঁদাবাজির বিষয়ে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন বলেন,অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে কোন ছাড় নেই। প্রশাসনের নামে টাকা তুলে ছাড় পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রশাসনের নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে তার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় অবৈধ বালু মাটি উত্তোলনের গডফাদার জাফরুল য়ার মোবাইল নাম্বার ০১৭১০২৩৩০৬৬ অবৈধ বালু মাটি উত্তোলনের সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের মূল হোতা ৬,৭,৮,নাম্বার বাদের ব্লকের নিকটবর্তী মাটির বালু উত্তোলন করে প্রতিনিয়ত শহর গ্রাম গঞ্জের হুমকির মধ্যে রয়েছে,অবিলম্বে এই গডফাদারের সাথে সঙ্ঘবদ্ধ চক্রকে মূল হোতাদের আইনের আওতায় এনে নবাবজায়গীর,চন্দ্রনারায়নপুর,শিবিরহাট,চরবাগডাংগা এসব এলাকাগুলো পদ্মা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় এলাকাবাসী।