মোঃ নাজমুল ইসলাম, প্রতিনিধি ঈশ্বরদী (পাবনা):
সোমবার (২৩ জুন) সকালে ঈশ্বরদীতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নোসকো) পিএলসি এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুন নুর’র সাথে সাক্ষাৎ করেন ঈশ্বরদীর সচেতন মহল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ওমর খান, সাংবাদিক শেখ ওয়াহিদ আলী সিন্টু, বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান স্বপন, বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম দিপু, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের কোষাধক্য মহিদুল ইসলাম, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি রিফাজ বিশ্বাস লালন, অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ফেরদৌস, মডেল প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম রকি প্রমুখ।
ঈশ্বরদীতে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ওপর জোর করে প্রিপেইড মিটার বসানোর প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন, প্রিপেইড মিটার ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাচ্ছে, নানা সময়ে বাড়তি চার্জ কাটা হচ্ছে এবং সার্ভিসে রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা।
শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, আগে মাসিক বিলের মাধ্যমে যে পরিমাণ খরচ হতো, প্রিপেইড মিটার চালুর পর একই ব্যবহারেও খরচ বেড়ে গেছে। অনেক সময় মিটার অকারণে টাকা কেটে নিচ্ছে, আবার রিচার্জ করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে রিচার্জের সুযোগ না থাকায় গ্রাহকরা অন্ধকারে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ওমর খান বলেন, “আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে না, তবে গ্রাহকবান্ধব না হলে এই উন্নয়ন আমাদের জন্য ভোগান্তির নামান্তর হয়ে দাঁড়ায়। বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করবো—গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া প্রিপেইড মিটার বসানো বন্ধ করুন এবং অভিযোগগুলো গুরুত্বের সাথে সমাধান করুন।
আমিনুর রহমান স্বপন বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো মতামত বা পরামর্শ ছাড়াই একচেটিয়াভাবে প্রিপেইড মিটার বসানো হচ্ছে। এতে ভোগান্তি বাড়ছে, অথচ সমাধানের উদ্যোগ নেই।
এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ীই প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। অভিযোগগুলো আমরা শুনছি, চেষ্টা করছি ধাপে ধাপে সমাধানের।”
বক্তাগন বলেন, বিষয়টি নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে আরও বড় ধরনের গণবিক্ষোভ হতে পারে।