অপরাধদমন নিউজ.২৪ (অনলাইন ডেস্ক)
মোহাম্মদ সাইদ: রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা মহানগর উওর, দক্ষিন ও কেরানীগঞ্জের বিএনপির যুবদল ছাত্রদল সেচ্ছাসেবক ও সকল অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের কারাদণ্ড হাইকোর্ট বহাল রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে দলটির নেতাকর্মীরা। মিছিলগুলো নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পুনরায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় ‘ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘আমান ভাইয়ের হুলিয়া, নিতে হবে তুলিয়া, আগুন জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’ বলে স্লোগান দিতে থাকে নেতাকর্মীরা।
এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুগ্ন আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, উত্তরের সদস্য মিজানুর রহমান বাচ্চুসহ যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মিছিল শেষ করে নেতাকর্মীরা মিল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশ পাশে জুড়ে পুলিশের সদস্যদের সর্তক অবস্থায় দেখা যায়।
আব্দুস সালাম বলেন, নির্বাচনকে আওয়ালীগের পক্ষে ইনফ্লুয়েনস করার জন্য জনপ্রিয় নেতাদের আটক করা হচ্ছে। আওয়ালীগ পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চায়। তারা উল্টোপাল্টা মামলা দিয়ে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে। হাইকোর্টের রায়কে অবমাননা করে মজনুকে অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) করা হয়েছে। আজ দলের যে দুজন সিনিয়র (জ্যেষ্ঠ) নেতার মামলায় যে রায় হয়েছে তা অমানবিক।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগে সরকার ষড়যন্ত্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের জেল, মামলা দিয়ে চলমান আন্দোলন স্তব্দ করে দিতে চায়। কিন্তু বিএনপির পক্ষে যে জনমত তৈরি হয়েছে তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে তারা একান্ত। তাই সরকারের কোনো ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। এ সময় নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর মামলা হামলা স্থগিত রাখার দাবি জানান আবদুস সালাম।
কথিতথাকে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা দুর্নীতির ২ মামলায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে একটি মামলায় আমান ও সাবেরাকে যথাক্রমে ১৩ বছর ও ৩ বছর এবং অন্য একটি মামলায় টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত।
২০০৭ সালের ২১ জুন অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের বিবরণীতে তথ্য গোপনের দায়ে আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।অপরাধে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় একই আদালত তার স্ত্রী সাবেরাকেও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।
ওই দম্পতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে খালাস দেন।২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে তাদের আপিলের ওপর নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করে দুদক।এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
আপিল আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ১৬ জুন দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বিএনপি নেতাকে বেকসুর খালাস দেন হাইকোর্ট।২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বাতিল করে তার আপিলের ওপর নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেয়।
নেতাকর্মীদের দাবী সরকার বিরোধীদলকে মামলা হামলা করে ঘায়েল করতে চায় এঅবৈধ ভোট ডাকাতি সরকার আমানউল্লাহ আমানের হুংকারের ভয়ে এরায় বহাল রাখে সরকার । তবে সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা এ রায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।