আঃ আজিজ চৌধুরী
মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধঃ
দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে ঘিরে মধুপুরের পাড়া মহল্লায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রতিমা শিল্পীরা। মন্ডপগুলোতে শুরু হয়েছে উৎসবের প্রস্তুতি। বাপের বাড়ি যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা দেবী দুর্গাকে সুন্দর রূপ দিতে দিন-রাত রং তুলির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
পাশাপাশি পুরোদমে এগিয়ে চলছে নানান ডিজাইনের গেইট ও আলোকসজ্জার কাজ। এবার মধুপুর উপজেলায় মোট ৫৪ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পৌরসভায় ২৩টি এবং বাকি ৩১ টি বিভিন্ন ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার দাস।
প্রতিটি প্রতিমাকে রঙ-তুলির নিপুণ আঁচড়ে রাঙাতে ব্যস্ত কারিগররা। চলছে সাজ-সজ্জার কাজও। দেবী দুর্গার সঙ্গে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী আর সরস্বতী দেবীকেও।
পঞ্জিকা মতে আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজা। আগামী ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই মহা উৎসব।
এবার দেবীর আগমন ও গমন হবে ঘোটকে অর্থাৎ (ঘোড়ায়)। যার কারণে পৃথিবী জুড়ে এবার অনেকটা অস্থির ও বিশৃঙ্খলা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।
মধুপুর থানা ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে অনুষ্ঠিত হবে এবারের দুর্গাপুজা উৎসব। এ বিষয়ে কয়েক দফায় পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যদের নিয়ে মুক্ত আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত সকল শারদীয় দুর্গাপুজা মন্ডপে আইন শৃঙ্খলা ও সার্বিক নিরাপত্তায় থাকছে, পুলিশি মোটরসাইকেল টহল, সমন্বিত পুজামন্ডপ কমিটি, স্থানীয় সেচ্ছাসেবক, আনসার বাহিনী সহ থানা পুলিশের বিশেষ টিম সার্বক্ষণিক টহল দিবেন।
এবার প্রতিটি পুজামন্ডপ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছেন মধুপুরের পৌর পিতা সিদ্দিক হোসেন খান। তিনি সম্প্রীতি বজায় রেখে সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সেলিম খান, নির্বাহী সম্পাদকঃ শেখ রবিউল ইসলাম আজম। যোগাযোগঃ ০১৮১১-২০২৫৩৩
বিঃদ্রঃ আমাদের সকল প্রতিনিধি নিজস্ব একাউন্ট থেকে স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে, যে-কনো সংবাদের দায়ভার তারা নিজেরাই বহন করবে।